প্রথম জমানার ধারাবাহিকতা মেনে মোদী সরকার দ্বিতীয় দফার বাজেটেও জোর দিয়েছে ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’য়। কিন্তু টেলিকম শিল্পের দাবি, এই বার্তায় যে খুশি ছড়িয়েছিল, তা খানিক ফিকে হয় চড়া করের হার ও বিভিন্ন ধরনের ফি কমানোর সুরাহা না মেলায়। ঋণে জর্জরিত সংস্থাগুলির মূল সমস্যা যেগুলি। আর শেষে উদ্বেগ বাড়ে অপটিক্যাল ফাইবারের উপর আমদানি শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাব শোনার পরে। একাংশের আশঙ্কা, ৪জি ও ৫জির মতো পরিষেবার পরিকাঠামো নির্মাণ এতে সাময়িক ধাক্কা খাবে।
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বাজেটে অপটিক্যাল ফাইবার ও কেব্লে আমদানি শুল্ক ১০% থেকে বাড়িয়ে ১৫% করার প্রস্তাব দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রের মতে, দেশে সেগুলির উৎপাদন বাড়াতে আমদানিতে রাশ টানাই এর লক্ষ্য। কিন্তু টেলি শিল্পের একাংশের বক্তব্য, কেন্দ্র দ্রুতগতির নেট, ৫জি, কৃত্রিম মেধার মতো পরিষেবায় জোর দিচ্ছে। ফলে এই সব ক্ষেত্রে টাওয়ারগুলির মধ্যে আরও বেশি অপটিক্যাল ফাইবারের সংযোগ জরুরি। অথচ শুল্ক বাড়ল। তাদের দাবি, শুল্ক বৃদ্ধির জেরে পরিকাঠামো তৈরির খরচ ২% বাড়তে পারে। উল্লেখ্য, এখন বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ‘মাইক্রোওয়েভ রেডিও’ সংযোগ আছে।
টাওয়ার অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রোভাইডর্স অ্যাসোসিয়েশনের ডিজি তিলক রাজ দুয়ার মতে, এখন ২০% টাওয়ারের মধ্যে ফাইবারের সংযোগ রয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে ৬০% করার লক্ষ্য। তবে শুল্ক বাড়ায় অন্তত স্বল্প মেয়াদে তা ধাক্কা খাবে। কারণ, খরচের বোঝায় এখনও কাবু টেলিকম শিল্পের ঘাড়ে এতে নতুন বোঝা চাপবে।
যদিও অনেকের পাল্টা মত, আমদানি কমলে দেশে ফাইবারের উৎপাদন বাড়ানো সহজ হবে। সময়ের সঙ্গে তা হবে সস্তাও। তবে টেলি সংস্থাগুলির সংগঠন সিওএআইয়ের ডিজি রাজন এস ম্যাথুজের বক্তব্য, চড়া করের হার ও ফি-র বোঝা কিছুটা লাঘব হবে বলে আশা করেছিলেন। তা মেটেনি। কিন্তু তিনি হাল ছাড়ছেন না। বলছেন, বাজেট পরবর্তী সমীক্ষায় কেন্দ্র নিশ্চয়ই সাহায্যের হাত বাড়াবে।