প্রতীকী ছবি
করোনাকালে টেলিকম পরিষেবার উপর মানুষের নির্ভরতা অনেকটা বেড়েছে। এরই মধ্যে খোদ ভোডাফোন আইডিয়ার (ভিআই) চেয়ারম্যান কুমার মঙ্গলম বিড়লা সংস্থার আর্থিক অবস্থা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে সরে দাঁড়ানোয় ছড়িয়েছে জল্পনা। টেলিকম সংস্থাটি বন্ধ হয়ে গেলে সার্বিক ভাবে দেশে তার কী প্রভাব পড়তে পারে, তা বিশ্লেষণের পাশাপাশি বিভিন্ন উপদেষ্টা সংস্থা সেই পরিণতি এড়ানোর সম্ভাব্য নানা পথও খতিয়ে দেখছে। তাদের দাবি, ঝাঁপ বন্ধের পথ এড়ানো না-গেলে গ্রাহক তো সমস্যায় পড়বেনই। বিপদে পড়বে ভিআই-কে বিপুল ধার দেওয়া ব্যাঙ্কগুলি, চাকরি হারাবেন বহু মানুষ। সরকারের পাশাপাশি টাওয়ার সংস্থা এবং টাওয়ার বসাতে জায়গা দেওয়া বাড়ির মালিকদেরও ভুগতে হবে। সার্বিক সঙ্কট কাটাতে তাই অবিলম্বে টেলিকম শিল্পের পাশে সরকারের দাঁড়ানো উচিত বলে মনে করছে তারা।
সূত্রের খবর, সম্প্রতি টেলিকমমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন বিড়লা। আর সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, আর্থিক বোঝায় জর্জরিত টেলি শিল্পের জন্য ত্রাণের বন্দোবস্ত করা যায় কি না, তা খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় টেলিকম দফতর এবং অর্থ মন্ত্রক।
উপদেষ্টা সংস্থা ইক্রার মতে, ভোডাফোনের ঝাঁপ বন্ধ হলে প্রায় ১.৮০ লক্ষ টাওয়ার বন্ধ হবে। সকলের পক্ষে উঠে দাঁড়ানো সম্ভব হবে না। সংস্থার হিসেবের খাতা দেখে তারা নিশ্চিত, বাইরে থেকে (মূলত সরকার) সাহায্য জরুরি। ইক্রার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সব্যসাচী মজুমদার জানান, ভিআইয়ের ধার ২৩,৪০০ কোটি টাকা। গত জুন পর্যন্ত সরকারের কাছে স্পেকট্রাম এবং এজিআরের বকেয়া মিলিয়ে বাকি ১.৬৮ লক্ষ কোটি টাকা। টেলি শিল্পকে স্পেকট্রাম ফি খাতে বকেয়া মেটাতে আরও কিছু দিন রেহাই দেওয়ার পক্ষে ইক্রা। বলেছে, গ্রাহক পিছু আয় বাড়ালে ভাল। স্পেকট্রাম ও লাইসেন্স ফি ১% কমালে শিল্পের সাশ্রয় হতে পারে ১৬০০ কোটি।
কেন্দ্রের বকেয়ার সুদ হ্রাস, স্পেকট্রাম দেওয়ার সময়সীমা বৃদ্ধি, ন্যূনতম দর বাঁধার মতো পদক্ষেপও এই শিল্পকে সুরাহা দিতে পারে।