—প্রতীকী চিত্র।
টেলি শিল্পের দাবি মেনে স্পেকট্রামের খরচ মেটানোর জন্য বাড়তি সময় দিয়েছে কেন্দ্র। এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েও টেলিকম সংস্থাগুলির সংগঠন সিওএআইয়ের দাবি, কর এবং লাইসেন্স ফি কমানোর মতো দাবিগুলি থেকে পিছোচ্ছে না তারা। তাদের যুক্তি, বুধবার কেন্দ্র যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাতে স্বল্পমেয়াদে সংস্থাগুলির কিছুটা সুরাহা হবে। কিন্তু এই শিল্পকে চাঙ্গা করতে এখনও দীর্ঘমেয়াদি কিছু পদক্ষেপ করা প্রয়োজন। সে দিকেই তাকিয়ে রয়েছে তারা।
বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, এয়ারটেল, ভোডাফোন-আইডিয়া, রিলায়্যান্স জিয়োর মতো সংস্থাগুলিকে ২০২০-২১ এবং ২০২১-২২ অর্থবর্ষের স্পেকট্রাম ফি আপাতত দিতে হবে না। পরবর্তী কিস্তিগুলিতে সেই বকেয়া সুদ-সহ সমান ভাগে মেটাতে হবে। চাইলে এই সুযোগ নিতে পারে সংস্থাগুলি। শিল্প মহলের বক্তব্য, মাসুল যুদ্ধের ফলে দেশের টেলিকম শিল্প পুঁজির সমস্যায় জর্জরিত। কেন্দ্রের পদক্ষেপের ফলে তাদের হাতে কিছুটা নগদ আসবে। কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়াবে শিল্প, বাড়বে কর্মসংস্থান, উন্নততর হবে পরিষেবার মান।
টেলকমমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ এবং টেলিকম দফতরকে (ডট) ধন্যবাদ জানিয়ে সিওএআইয়ের দাবি, টেলিকম শিল্প যে সমস্যার মধ্যে রয়েছে তা বুঝতে পেরেছে কেন্দ্র। কিন্তু উঁচু হারের কর এবং লেভি টেলিকম শিল্পের মাথাব্যথার বড় কারণ। সংস্থাগুলির যা আয় হয়, তার ৩০ শতাংশই চলে যায় এই বাবদ খরচ মেটাতে। এই হার কমানোর দাবি থেকে যে তারা সরছে না, এ দিন এক বিবৃতিতে তা খোলসা করে দিয়েছে সংগঠনটি।
সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক রায়ে লাইসেন্স ফি বাবদ প্রায় ১.৪২ লক্ষ কোটি টাকার দেনা চেপেছে টেলিকম সংস্থাগুলির কাঁধে। টেলিকমমন্ত্রী ও ডটের কাছে এই বিষয়টিও পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়ে সরকারের সঙ্গে কথা বলবে সিওএআই।