প্রতীকী ছবি।
অক্টোবর-ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকে ফের লোকসান হওয়ার কথা জানাতে গিয়ে ভোডাফোন আইডিয়ার কর্তার ইঙ্গিত ছিল, সংস্থা পরিচালনার জন্য নগদ জোগান বা সরকারের বকেয়া মেটানোর সঙ্গতি নিয়ে সংশয় বহালই। ফলে ব্যবসা টিকিয়ে রাখা নিয়ে আশঙ্কা কাটেনি। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট ফের কেন্দ্রকে বকেয়া মেটাতে নির্দেশ দেওয়ার পরে তাই ভোডাফোন নিয়ে অনিশ্চয়তা আরও বাড়ল। গ্রাহকদের অনেকেরই প্রশ্ন, এ বার কী হবে? কোন পথে হাঁটবে সংস্থা?
বকেয়া মেটানো নিয়ে তাদের নির্দেশ পুনর্বিবেচনার জন্য টেলি শিল্পের একদফা আর্জি আগে খারিজ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার তারা সেই আর্জি ফের খারিজই করেনি, বরং আগের নির্দেশ না-মানায় সংস্থাগুলির সঙ্গে টেলিকম দফতরকেও (ডট) একহাত নিয়েছে। তার পরেই নতুন করে দেশে টেলি শিল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে শুরু হয় জল্পনা। বিশেষত, এর আগে যেহেতু ত্রাণ না-পেলে ভারতে ব্যবসা গোটানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ভোডাফোনের শীর্ষকর্তারা। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, সংস্থা সঙ্কটেই আছে। সংশ্লিষ্ট মহলের প্রশ্ন, তারা ব্যবসা গোটালে এত গ্রাহক, কর্মী, ডিস্ট্রিবিউটর ও খুচরো বিক্রেতাদের কী হবে? কেন্দ্রের ডিজিটাল ইন্ডিয়ার কর্মসূচিও কি ধাক্কা খাবে না?
তবে একাংশের দাবি, তৃতীয় ত্রৈমাসিকে একটু উন্নত হয়েছে ফল। ব্যবসা বেড়েছে ২.৩%। ডেটা ব্যবহার ও ৪জি গ্রাহকের সংখ্যা, গ্রাহক পিছু আয়ও বেড়েছে। তাই এখনই হয়তো হাল ছাড়বে না ভোডাফোন। যদিও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে এয়ারটেল ২০ তারিখের মধ্যে একাংশ বকেয়া মেটানোর কথা জানালেও, ভোডাফোন কিছু বলেনি। উপদেষ্টা সংস্থা কম ফার্স্ট ইন্ডিয়ার মহেশ উপ্পলের দাবি, ভোডাফোনের অবস্থা সব থেকে ঝুঁকিপূর্ণ। আজ তারা ফল নিয়ে আলোচনাও স্থগিত রেখেছে।