প্রতীকী ছবি।
প্রথমে লকডাউন। আর এখন কোথাও কোথাও একটানা তুমুল বৃষ্টি। সব মিলিয়ে ধাক্কা খাচ্ছে চায়ের উৎপাদন। ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশনের (আইটিএ) দাবি, জানুয়ারি থেকে জুনে উত্তরবঙ্গ ও অসমে গত বছরের তুলনায় উৎপাদন প্রায় ৪০% কমেছে। সরবরাহ কমায় নিলাম কেন্দ্রের বাড়ছে চায়ের দাম।
এর আগে করোনা সঙ্কটে চা বাগান প্রায় দু’মাস বন্ধ ছিল। ফলে বন্ধ ছিল পাতা তোলা এবং তার থেকে চা তৈরিও। তখনই কমপক্ষে ২০% উৎপাদন ঘাটতির আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল চা শিল্প মহল। আইটিএর দাবি, এর পরে বৃষ্টি নতুন সমস্যা ডেকে এনেছে। অবিরাম বৃষ্টিতে জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারের বহু বাগান ও সংলগ্ন এলাকায় জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে। একই অবস্থা অসমেও। ফলে বাগানে কাজে আসতে পারছেন না অনেক শ্রমিক। পাতা তোলায় বিঘ্ন ঘটছে। বৃষ্টির জেরে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের জন্য কারখানায় চায়ের উৎপাদনও ব্যাহত হচ্ছে।
উৎপাদন ঘাটতির জেরে নিলাম কেন্দ্রে চায়ের দাম বাড়তে শুরু করেছে। তবে আইটিএ-র সেক্রেটারি জেনারেল অরিজিৎ রাহার দাবি, এই দাম বৃদ্ধিতেও বাগানগুলি লাভবান হবে না। কারণ, দাম বৃদ্ধির তুলনায় উৎপাদন ঘাটতি অনেক বেশি। ফলে তাদের মোট আয় ধাক্কা খাচ্ছে।