—প্রতীকী ছবি।
চা বাগানের কর্মীদের অনেকেরই দৃষ্টিশক্তি কম। যার প্রভাব পড়ছে বাগানের উৎপাদনশীলতায়। ভিশনস্প্রিং-এর সমীক্ষা বলছে, চশমার ব্যবহার করার পরে তাঁদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি পেয়েছে অনেকটাই। তাই অসমের পরে এ বছরে উত্তরবঙ্গেও ক্ষুদ্র চা চাষি ও সংগঠিত ক্ষেত্রের বড় বাগানগুলিতেও সেই সমীক্ষা এবং তার পরে পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি। বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, চোখের এই সাধারণ সমস্যা মেটাতে পারলে উৎপাদনশীলতা বাড়ায় তা দেশের আর্থিক বৃদ্ধিতেও গতি আনবে।
চা বাগানের কর্মীদের দৃষ্টিশক্তির সমস্যার প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষকে নিয়ে সম্প্রতি কলকাতায় সভার আয়োজন করেছিল ভিশনস্প্রিং। তার ফাঁকে সংস্থার এমডি অংশু তানেজা এবং অন্যেরা জানান, বছর কয়েক আগে তাঁরা অসমের তিনটি বাগানের প্রায় ৫০০ কর্মীদের চোখ পরীক্ষা করেন। তাঁরা সাধারণভাবে চা পাতা তোলা, বাছাই করা ইত্যাদি কাজে যুক্ত ছিলেন। তাঁদের বেশিরভাগই মহিলা। ছানির সমস্যা ছিল খুব কম জনের। কিন্তু ৬৫-৭৫ শতাংশের সাধারণ দৃষ্টিশক্তির ক্ষেত্রেই সমস্যা ছিল। চশমা ব্যবহার শুরুর পরে দেখা গিয়েছে তাঁদের উৎপাদনশীলতা ২০%-৩৩% পর্যন্ত বেড়েছে। বেশিরভাগই প্রথমবার চশমা ব্যবহারের সুযোগ পান। এর পর আরও বাগানে প্রায় ৮০,০০০ কর্মীকে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়।
সংস্থাটির কর্তাদের লক্ষ্য, পাঁচ বছরে অসম, পশ্চিমবঙ্গ, হিমাচলপ্রদেশ ও দক্ষিণ ভারতের চা বাগানের সব মিলিয়ে মোট ১০ লক্ষ কর্মীর চোখ পরীক্ষা করে ব্যবস্থা নেওয়া। সেপ্টেম্বর থেকে উত্তরববঙ্গে সেই কাজ শুরু নিয়ে আশাবাদী তাঁরা। বাগানের উৎপাদনশীলতা বাড়লে যেমন কর্মীদের আয় বাড়বে, তেমনই বাড়বে বাগানের ব্যবসাও।
প্রসঙ্গত, চা বাগানের পাশাপাশি বাংলাদেশের বস্ত্র শিল্পের প্রায় দু’ লক্ষ কর্মী এবং ভারতে বারাণসীতে বেনারসি শাড়ি তৈরিতে যুক্ত প্রায় এক লক্ষ কর্মীদের ক্ষেত্রেও একই পদক্ষেপ করেছে সংস্থাটি। দাবি, চশমা ব্যবহারের পরে তাঁদেরও উৎপাদনশীলতা বেড়েছে।