দেশ জোড়া বৈদ্যুতিন চা নিলামে হোঁচট প্রথম দিনে

শেষমেশ শুরু হল ঠিকই। কিন্তু প্রথম দিনেই হোঁচট খেল সারা দেশে (কোয়েম্বত্তুর বাদে) একসঙ্গে চায়ের বৈদ্যুতিন নিলাম।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০১৬ ০৮:৫৪
Share:

শেষমেশ শুরু হল ঠিকই। কিন্তু প্রথম দিনেই হোঁচট খেল সারা দেশে (কোয়েম্বত্তুর বাদে) একসঙ্গে চায়ের বৈদ্যুতিন নিলাম।

Advertisement

বৃহস্পতিবার ওই নিলাম শুরুর এক ঘণ্টার মধ্যেই বন্ধ হয়ে যায় পুরো প্রক্রিয়া। পরে চার নিলাম কেন্দ্রে তা ফের চালু হলেও, গুয়াহাটিতে আর শুরু করা যায়নি। সৌজন্যে ‘লিঙ্ক’ চলে যাওয়ার সমস্যা। দেশের পাঁচ নিলাম কেন্দ্রে যত চা এ দিন বিক্রির জন্য রাখা হয়, তার ৫৮.৭% বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছে টি বোর্ড। তবে তাদের দাবি, এ দিন নতুন পদ্ধতি চালু হয়েছে সাফল্যের সঙ্গেই।

ক্রেতাদের অনেকের অভিযোগ, প্রযুক্তিগত সমস্যা তো হয়েইছে, সঙ্গে ভুগিয়েছে কর-সমস্যা। তামিলনাড়ুতে ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন (যুক্তমূল্য কর জমা দেওয়ার জন্য নথিভুক্তি) না-থাকায় কুন্নুড়ের নিলামে অংশই নিতে পারেননি কলকাতার ক্রেতারা। সব সমস্যার সুরাহা না-করে তড়িঘড়ি নতুন ব্যবস্থা চালু করা হল কেন, প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়ে। ক্ষোভে নিলাম বয়কট করেছেন শিলিগুড়ির অধিকাংশ ক্রেতা। সেখানে চা বিক্রি হয়েছে মাত্র ৮%। কলকাতার টি অকশন বায়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান এল এম গুপ্তের দাবি, কিছু সমস্যা এখনও না-মেটায় অনেকেই এই ব্যবস্থা নিয়ে উদাসীন।

Advertisement

সমস্যার কথা মেনে টি বোর্ডের চেয়ারম্যান সন্তোষ ষড়ঙ্গী বলেন, ‘‘এ ধরনের নতুন ব্যবস্থা চালু হলে, প্রথমে কিছু সমস্যা থাকে। ক্রেতাদের সমস্যাগুলি নিয়ে আশ্বস্ত করেছি। কথা বলব শিলিগুড়ির ক্রেতাদের সঙ্গেও।’’ ভ্যাট-সমস্যা খতিয়ে দেখারও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

দেশের ছয় কেন্দ্রে এত দিন আলাদা-আলাদা ভাবে বৈদ্যুতিন নিলাম হত। পুরো ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনতে ও প্রতিযোগিতা বাড়াতে একসঙ্গে সবক’টি কেন্দ্রে তা চালু করার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। সে জন্য টি বোর্ডকে দায়িত্ব দেয় বাণিজ্য মন্ত্রক।

ওই ব্যবস্থাকে স্বাগত জানালেও তার রূপায়ণ নিয়ে টি বোর্ডের সঙ্গে কার্যত তর্ক বাধে চা শিল্পের। চা শিল্পমহলের একাংশের অভিযোগ ছিল, নিয়ম তৈরির সময়ে তাদের বক্তব্য অনেক ক্ষেত্রে কানে তোলেনি বোর্ড। ফলে সমস্যা হয়েছিল পরীক্ষামূলক নিলামের সময়েও। সঙ্গে রয়েছে করের সমস্যা।

এই পরিস্থিতিতে এ দিন একসঙ্গে বৈদ্যুতিন নিলাম শুরু হয় কোয়েম্বত্তুর বাদে বাকি কেন্দ্রগুলিতে (কলকাতা, গুয়াহাটি, শিলিগুড়ি, কোচি ও কুন্নুড়)। প্রযুক্তিগত গোলোযোগে তা বন্ধ হওয়ার পরে ফের চালু হয় দুপুর আড়াইটে নাগাদ। গুয়াহাটিতে অবশ্য লিঙ্ক-সমস্যার কারণে তা আর শুরু করা যায়নি। তাই কোয়েম্বত্তুরের পাশাপাশি শুক্রবার নিলাম হওয়ার কথা সেখানেও। প্রসঙ্গত, চা শিল্পের একাংশের দাবি, টেলিকম সংস্থার বকেয়া মেটানো নিয়ে সমস্যা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে খবর, কলকাতা কেন্দ্রে এ দিন নিলামে তোলা হয়েছিল ১০.৫০ লক্ষ কেজি চা। বিক্রি হয়েছে ৭.৩ লক্ষ কেজি। সিটিসি ও দার্জিলিং চা বিক্রি হয়েছে যথাক্রমে ৭১% ও ৫০%। বাইরের কোনও ক্রেতা কলকাতার নিলামে অংশ নেননি বলেই এই কেন্দ্রের দাবি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement