কর্মী সংখ্যা ৩১২ থেকে কমিয়ে ২৫০ করা হবে টি বোর্ডে।
নরেন্দ্র মোদী সরকারের প্রথম দফায় টি বোর্ডের পুনর্গঠনের পরিকল্পনাকে কেন্দ্র করে বিতর্ক ছড়িয়েছিল। টি বোর্ডের সদর দফতর কলকাতা থেকে সরতে পারে বলেও চর্চা শুরু হয় রাজনৈতিক মহলে। শেষ পর্যন্ত না হলেও কলকাতায় সদর দফতরের কাজকর্ম অনেকটাই সঙ্কুচিত করা হয়। এ বার খরচ কমিয়ে ফের টি বোর্ডকে ঢেলে সাজানোর নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। সেই পথে হাঁটতে অর্থোডক্স চা তৈরির ভর্তুকিতে রাশ টানার পাশাপাশি কর্মী সঙ্কোচন ও বিভিন্ন রাজ্যে বোর্ডের ছ’টি দফতর বন্ধ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার টি রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশনের (টিআরএ) বার্ষিক সভায় জানান বোর্ডের ডেপুটি চেয়ারম্যান অরুণকুমার রায়।
এর পাশাপাশি, চা শিল্প মহলকে শুধুমাত্র বোর্ডের ভর্তুকির উপরে নির্ভর না করে আর পাঁচটা শিল্পের মতো নিজেদের আয় বাড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি। অরুণবাবুর দাবি, অর্থোডক্স চায়ের ভর্তুকি বেশি করে পাওয়ার আশায় অনেক সময়ে কিছু সংস্থা শুধু উৎপাদন বৃদ্ধির উপরে জোর দেয়। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে চায়ের মানরক্ষা গুরুত্ব পায় না। সে কারণে ভর্তুকিতে রাশ টানতে চান তাঁরা।
পরিকল্পনা
• কর্মী সংখ্যা ৩১২ থেকে কমিয়ে ২৫০।
• ছাঁটাই, স্বেচ্ছাবসর নয়।
• তবে প্রয়োজনে অন্য সংস্থায় বদলি।
• বিভিন্ন রাজ্যে বন্ধ করা হতে পারে কয়েকটি দফতর।
• দিল্লির দফতরকে কফি বোর্ডের দফতরের সঙ্গে মেশানো।
• কলকাতার আইন ও কম্পিউটার দফতরের কাজ আউটসোর্স।
অন্য দিকে, টিআরএ-র চেয়ারম্যান পি কে বেজবড়ুয়া জানান, গবেষণা খাতে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ বছর চারেক ধরে ২৫ কোটি টাকার বদলে কমে দাঁড়িয়েছে ৯ কোটি টাকা। তা শুনে নীতি আয়োগের সদস্য ভি কে সারস্বতের বক্তব্য, শিল্পের উন্নয়নের জন্য গবেষণা জরুরি। সেই খাতে বরাদ্দ হ্রাস ঠিক নয়। চা শিল্পের সার্বিক সমস্যা নিয়ে শিল্প মহল একটি রিপোর্ট তৈরি করলে তিনি তা নিয়ে কেন্দ্রকে বলবেন বলেও আশ্বাস দেন।