অ্যাকাউন্ট এবং আয়ের হিসাবের সঙ্গে ওই অ্যাকাউন্ট আয়কর আইনের ৮৯এ ধারায় নথিবদ্ধ কোনও দেশে খোলা হয়েছে কি না, তার উল্লেখ করতে হবে করদাতাকে।
প্রতীকী ছবি।
এ বার থেকে বিদেশের কোনও ব্যাঙ্কে অবসরকালীন প্রকল্প থেকে অর্থ জমা পড়লে, তা-ও আয়কর রিটার্নে উল্লেখ করতে হবে। শুক্রবার গত ২০২১-২২ অর্থবর্ষের জন্য নতুন আয়কর রিটার্ন ফর্মের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে প্রত্যক্ষ কর পর্ষদ (সিবিডিটি)। সেখানে এ কথা জানানো হয়েছে। এই বছরে বিভিন্ন শ্রেণির আয়করদাতাদের জন্য মোট পাঁচটি ফর্ম এনেছে তারা।
নিয়ম অনুসারে, যে সব করদাতার আয় বছরে ৫০ লক্ষ টাকার মধ্যে, তাঁদের ১ নম্বর (সহজ) ফর্মে রিটার্ন জমা দিতে হয়। এই আয় হতে হয় বেতন, একটি বাড়ি ভাড়া, সুদ থেকে। বিজ্ঞপ্তিতে ওই ফর্মটিতে অতিরিক্ত তথ্য হিসেবেই বিদেশের কোনও অরসরকালীন প্রকল্প বা রিয়াটারমেন্ট প্ল্যান থেকে অর্থ পেতে কোনও ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়ে থাকলে তারও উল্লেখ করতে বলা হয়েছে। ওই অ্যাকাউন্ট থেকে সংশ্লিষ্ট করদাতার কত আয় হচ্ছে জানাতে হবে সেই অঙ্কও। সেই আয়কে হিসাবের মধ্যে এনে তাঁর বার্ষিক আয় স্থির করা হবে।
অ্যাকাউন্ট এবং আয়ের হিসাবের সঙ্গে ওই অ্যাকাউন্ট আয়কর আইনের ৮৯এ ধারায় নথিবদ্ধ কোনও দেশে খোলা হয়েছে কি না, তার উল্লেখ করতে হবে করদাতাকে। কারণ, দ্বৈত কর এড়াতে কিছু দেশের সঙ্গে চুক্তি রয়েছে ভারতের, যা ওই ধারায় বলা থাকে। এতে ওই সব দেশে কর মেটানো থাকলে, ভারতে আর তা দিতে হয় না। ফলে সেই দেশগুলিতে অবসরকালীন প্রকল্প থেকে আয় রিটার্নে উল্লেখ করলে, তার উপরে ছাড় দাবি করতে পারবেন করদাতা।
আয়কর বিশেষজ্ঞ ও ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব ইন্ডিয়ার পূর্বাঞ্চল শাখার প্রাক্তন চেয়ারম্যান অনির্বাণ দত্ত বলেন, “এত দিন করদাতার বিদেশের সম্পত্তি ও আয় থাকলে তা রিটার্নে জানাতে হত। তবে অবসরকালীন প্রকল্প থেকে আয়ের উল্লেখ করতে হত না। নতুন ব্যবস্থার মূল উদ্দেশ্য, করদাতার উপরে নজরদারি বাড়ানো। এতে করের বোঝা বাড়বে না। কিন্তু সরকারের রেকর্ডে বিদেশে আয়ের সব তথ্য থাকবে।’’