২০২১-২২ সালে ২৭.০৭ লক্ষ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে কেন্দ্র। প্রতীকী ছবি।
ঊর্ধ্বমুখী পেট্রল-ডিজ়েলের দামের আঁচ কমাতে মোদী সরকার তেলে শুল্ক ছাঁটাই করবে কি না, তা নিয়ে আশ্বাস দিতে চাইলেন না অর্থ মন্ত্রকের রাজস্ব সচিব তরুণ বজাজ। উল্টে সতর্ক করলেন, ৩১ মার্চে শেষ হওয়া অর্থবর্ষে যে পরিমাণে কর আদায় বেড়েছে, নতুন অর্থবর্ষে (২০২২-২৩) অতখানি বাড়বে না।
আজ অর্থ মন্ত্রক জানিয়েছে, সদ্য শেষ হওয়া ২০২১-২২ সালে কেন্দ্রের ২৭.০৭ লক্ষ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে। বছরের শুরুতে ২২.০৭ লক্ষ কোটির অনুমানের থেকে তা বেশি তো বটেই। বছর শেষের আগে সংশোধিত অনুমানের থেকেও বেশ উপরে। এর মধ্যে তেল এবং অন্যান্য পণ্যে বসানো উৎপাদন শুল্ক থেকে এসেছে ৩.৯১ লক্ষ কোটি। উৎপাদন শুল্ক, আমদানি-রফতানি শুল্কের মতো পরোক্ষ কর থেকে কেন্দ্র অনুমানের থেকেই ১.৮৮ লক্ষ কোটি বেশি অর্থ ঘরে তুলেছে।
বিরোধীরা সমানেই প্রশ্ন তুলছেন, কেন্দ্র পেট্রল-ডিজ়েলের উৎপাদন শুল্ক থেকে যখন এত টাকা ঘরে তুলছে, তখন মানুষকে সুরাহা দিতে শুল্ক কমিয়ে তেলের দাম কমাচ্ছে না কেন?
বজাজের যুক্তি, ‘‘উৎপাদন শুল্ক থেকে বিদায়ী বছরে অনেক আদায় হয়েছে ঠিকই। তবে আমার মতে, নতুন অর্থবর্ষে এই খাতে আয় ধাক্কা খাবে।’’ যুক্তি হিসেবে গত বছরের শেষে শুল্ক ছাঁটাইয়ের দিকে ইঙ্গিত করেছেন তিনি। একই ভাবে ইঙ্গিত করেছেন ভোজ্য তেলের দাম কমাতে আমদানি শুল্ক ছাঁটাইয়ের দিকেও। এই যুক্তি দেখিয়েই সরকার কি আর শুল্ক কমাবে না? সচিব এই প্রশ্নের উত্তর দিতে চাননি। কেন্দ্রের পরিসংখ্যান বলছে, ২০২০-২১ সালে কোভিডের বছরে রাজস্ব আয় অনেক কমেছিল। সেই নিচু ভিতের তুলনায় গত অর্থবর্ষে তা ৩৩.৫% বেড়েছে। নতুন অর্থবর্ষে বছরে কর বাবদ ২৭.৫৮ লক্ষ কোটি আয় হবে ধরে বাজেটের অঙ্ক কষেছে। গত বছরেই আয় তার প্রায় কাছাকাছি। আয়কর ও কর্পোরেট কর থেকে এসেছে ১৪.১০ লক্ষ কোটি।
লক্ষ্যের চেয়ে ৩.০২ লক্ষ কোটি বেশি।