—প্রতীকী চিত্র।
লোকসভা ভোটের আগে ১ ফেব্রুয়ারি পেশ হবে অন্তর্বর্তী বাজেট। পূর্ণাঙ্গ বাজেট না হওয়ায় সেখানে খুব কিছু বড় ঘোষণার সম্ভাবনা নেই বলে ইতিমধ্যেই ইঙ্গিত দিয়েছে কেন্দ্র। তবুও প্রচলিত রীতি মেনে প্রাক-বাজেট প্রস্তাবে একগুচ্ছ আর্জি জানাল দেশের খুচরো ব্যবসার সংগঠন রিটেলার্স অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া (আরএআই)। তার মধ্যে অন্যতম, বাজারে চাহিদা বাড়াতে আরও কর ছাড় দিক সরকার। যাতে আমজনতার হাতে নগদের জোগান ও তার প্রভাবে চাহিদা বৃদ্ধি পায়।
অতিমারির সময়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসটুকুই কেনার উপরে জোর দিয়েছিলেন মানুষ। ফলে জরুরি নয়, এমন খুচরো পণ্যের বিকিকিনি তলানিতে ঠেকেছিল। করোনার আবহ কাটার পরে ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়িয়েছে খুচরো ব্যবসা। এর মধ্যেই আবার চড়া মূল্যবৃদ্ধির আঁচে হাত পুড়ছে সাধারণ মানুষের। ফলে বাজারের সম্ভাবনার পুরোটাকে খুচরো ব্যবসা উসুল করতে পারছে কি না, তা নিয়েও সন্দিহান একাংশ।
কেন্দ্রকে দেওয়া প্রস্তাবে আরএআই-এর বক্তব্য, দেশের জিডিপি-তে ১০% অংশীদারি রয়েছে এই ব্যবসার। প্রায় পাঁচ কোটি মানুষ এর সঙ্গে যুক্ত। প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থানের নিরিখে কৃষির পরেই রয়েছে খুচরো ব্যবসা। ২০৩২ সালে যার মাপ এখনকার চেয়ে দ্বিগুণ হওয়ার আশা। ফলে তার চাহিদায় আরও গতি আনা দরকার। সংগঠনটির মতে, সে ক্ষেত্রে কর ছাড় পেলে মানুষের হাতে নগদের জোগান বাড়বে। যার হাত ধরে মাথা তুলবে বিক্রিবাটা।
তবে বিভিন্ন মহল থেকে দেশের চাহিদার কিছু অংশে সমস্যার কথা উঠলেও, সে প্রসঙ্গে কিছু বলেনি আরএআই। শুধু জানিয়েছে, জিএসটি-সহ সরল নিয়মকানুন, সহায়ক জাতীয় নীতি খুচরো ব্যবসার প্রসারে জরুরি। এই ক্ষেত্রে ছোট-মাঝারি শিল্পের অধীন হলেও, তারা এর সব সুবিধা পায় না। তাই তা চালু করা হোক। বিশেষত, কার্যকরী মূলধন জোগাড়ে ছোট সংস্থাগুলির সমস্যার কথা জানিয়ে তাদের আর্জি, খুচরো ব্যবসাও যাতে সহজে ও কম সুদে ঋণ পায়, তা নিশ্চিত করা হোক। পাশাপাশি, সিডবি-র সঙ্গে মিলে এই ব্যবসায়ীদের জন্য বিশেষ তহবিল গড়ারও প্রস্তাব দিয়েছে তারা। সংগঠনটির আর্জি, খাবার ও পানীয়ের মতো খুচরো ব্যবসাকে অগ্রাধিকারের সঙ্গে জরুরি পরিষেবা হিসাবে বিবেচনা করা হোক। তা হলে বিদ্যুতের মতো এই ক্ষেত্রও ভর্তুকি ও অন্যান্য বাড়তি সুবিধা পাবে।