সমস্যার শিকড় কাটতে এ বার প্রয়োজনে নিজেদের লোকসানে চলা কিছু পণ্য কাঁটছাঁট করতে পারে টাটা গ্লোবাল বেভারেজেস (টিজিবিএল)। চায়ের পাশাপাশি পানীয় জল, কফি ইত্যাদিরও ব্যবসা করে যারা। তবে কোন পণ্যের ব্যবসা থেকে তারা সরতে পারে, তা জানাননি টাটা গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরন।
চায়ের বাজারে টিজিবিএলের ২৩% অংশীদারি। এক সময়ে উত্তর ও দক্ষিণ ভারতে টাটা গোষ্ঠীর চা বাগান থাকলেও, পরে তারা সরাসরি আর সেই ব্যবসায় থাকেনি। বরং উত্তর ভারতে ‘অ্যামালগামেটেড প্লান্টেশন’ ও দক্ষিণ ভারতে ‘কানন দেবন হিল প্লান্টেশন’, এই দুই সংস্থায় বাগানগুলি হস্তান্তরিত করে। তবে দুই সংস্থায় এখনও টাটাদের যথাক্রমে ৪১% ও ২৮% অংশীদারি রয়েছে। এ দিন শেয়ারহোল্ডারদের প্রশ্নের জবাবে চন্দ্রশেখরন জানান, ওই সহযোগী সংস্থাগুলি লোকসানে চলছে। কী ভাবে সেগুলিকে লাভের মুখ দেখানো যায়, সে জন্য ওই ব্যবসা খতিয়ে দেখবে টিজিবিএল। তবে সরাসরি বাগান পরিচালনায় যে আর টাটারা ফিরছে না, তা কার্যত এ দিন স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি।
পাশাপাশি, ২০১৮ সালে কলকাতায় স্টারবাকস-এর কফি শপ খোলার কথা জানান চন্দ্রশেখরন। মার্কিন ওই সংস্থার সঙ্গে জোট আছে টিজিবিএলের। টাটা-স্টারবাকসের সিইও সৌমিত্র ঘোষ বলেন, একটি বড় কফি-শপ হবে। এ ছাড়া ২-৩টি ছোট কফি-শপও খুলবেন তাঁরা।