গৌতম আদানি। —ফাইল চিত্র।
আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে শেয়ার দরে কারচুপির অভিযোগের তদন্ত কত দূর এগিয়েছে, বাজার নিয়ন্ত্রক সেবি-র কাছে তা জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট। সেই সঙ্গে আগামী ১৪ অগস্টের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তাদের সেই তদন্ত শেষ করতেও মঙ্গলবার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। বলেছে কোর্ট নিযুক্ত কমিটির রিপোর্টের যে জবাব সেবি দিয়েছে, তা সব পক্ষের মধ্যে বণ্টন করতে। সেবি-র তরফে সলিসিটর জেনারাল তুষার মেহতার দাবি, ‘যত দ্রুত সম্ভব’ তদন্ত শেষের পথে হাঁটছে নিয়ন্ত্রক।
তবে বাজার নিয়ন্ত্রকটি সোমবার কমিটির রিপোর্টের যে উত্তর দিয়েছে, তা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। আজ এই জবাব নিয়ে কেন্দ্রকে তোপ দেগে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশের টুইট, বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্ট দেখে বোঝা যাচ্ছে, আদানি গোষ্ঠীতে বেআইনি লেনদেনের মাধ্যমে নিয়ম ভাঙা হয়েছে তা সেবি বুঝতে পারলেও, নিয়ম এতটাই বদল করা হয়েছে যে তা নিয়ে কোনও ব্যবস্থা নিতে পারেনি তারা। যা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং তার শিল্পবন্ধুদেরই সুবিধা করে দিয়েছে। একমাত্র যৌথ সংসদীয় কমিটিই পারে আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে মোদীর সম্পর্কের সত্যিটা সকলের সামনে স্পষ্ট করতে।
উল্লেখ্য, মে মাসে সুপ্রিম কোর্টের কমিটি অন্তর্বর্তী রিপোর্টে বলেছিল, ২০১৪-১৯ সালের মধ্যে সেবির বিধিতে বেশ কিছু সংশোধন হয়েছিল। শিথিল করা হয় বিদেশি লগ্নি সংক্রান্ত নিয়ম। তার ফলে আদতে বিদেশি লগ্নির মাধ্যমে কারা উপকৃত হচ্ছে, তা বোঝার ক্ষেত্রে অস্পষ্টতা তৈরি হয়। এর জবাবে সেবি গতকাল পাল্টা বলেছিল, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিয়ম আরও শক্তপোক্ত হয়েছে। বিধি ভাঙার প্রমাণ মিললে পদক্ষেপ করা হবে।
যদিও আজ অন্য এক পক্ষের হয়ে আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ আদালতকে বলেন, ‘কমিটির রিপোর্ট স্পষ্টই দেখিয়েছে যে, সেবি-র কোনও খামতি ছিল না তা নয়, তাদের হাতে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কোনও উপায়ই ছিল না।’’ তাঁর দাবি, প্রতারণা যাতে সামনে না আসে, সেই লক্ষ্যেই সংস্থার গঠনে ধোঁয়াশা কাটানো, নিজেদের মধ্যে লেনদেন, মালিকের পরিচয় জানানোর নিয়ম সংশোধন করা হয়। ২৯ অগস্ট পরবর্তী শুনানি হবে।