রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয় অতিরিক্ত চিনি। প্রতীকী ছবি।
চিনির উৎপাদন যে কমতে পারে, এমন আশঙ্কা শিল্প মহল করেছিল আগেই। সেই আশঙ্কাকে সত্যি প্রমাণ করে মরসুমের শুরুতে তেমনই ইঙ্গিত মিলল। চিনিকল সমিতি (আইএসএমএ) সূত্রের খবর, অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া চিনির চলতি বিপণন মরসুমে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে উৎপাদন ৬৪% কমেছে। হয়েছে ৪.৮৫ লক্ষ টন। গত বছর একই সময়ে তা হয়েছিল ১৩.৩৮ লক্ষ টন।
আইএসএমএ অবশ্য দাবি করেছে, এখনও পর্যন্ত ১০০-র কিছু বেশি চিনিকলে উৎপাদন শুরু হয়েছে। গত বছর যেখানে এই সময়ে ৩১০টির মতো চিনিকলে পুরোদমে উৎপাদন শুরু হয়ে গিয়েছিল। যেমন, মহারাষ্ট্রের চিনিকলগুলি এখনও উৎপাদন শুরু করেনি। কর্নাটকে উৎপাদন শুরু হলেও সব চিনিকল চালু না হওয়ায় উৎপাদন কমে হয়েছে ১.৪৩ লক্ষ টন। তবে উত্তরপ্রদেশে চিনির উৎপাদন গত বছরের তুলনায় বেড়েছে। হয়েছে ২.৯৩ লক্ষ টন। আইএসএমএ আরও জানিয়েছে, ২২ নভেম্বর থেকে মহারাষ্ট্রে উৎপাদন শুরু করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
গত বছর অনাবৃষ্টির কারণে মহারাষ্ট্র ও কর্নাটকে আখ চাষ কম হয়েছিল। আগের মরসুমের তুলনায় ৩০% কম জমিতে ফলন হয় আখের। তার সঙ্গে এ বছর আবার অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় ফলন মার খায়। ফলে এই মরসুমের শুরুতে তার প্রভাব কিছুটা পড়েছে চিনি উৎপাদনে। তবে উৎপাদন কমলেও শিল্প মহল ও বন্দর সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ২ লক্ষ টন চিনি আন্তর্জাতিক বাজারে রফতানির জন্য পাড়ি দিয়েছে। আরও ১২ লক্ষ টন চিনি রফতানির চুক্তিও হয়ে গিয়েছে।