প্রতীকী ছবি।
লাগাতার পতনে আপাতত দাঁড়ি পড়ল বুধবার। পাঁচ দিন প্রায় ৩০০০ পয়েন্ট নামার পরে এ দিন সেনসেক্স উঠল ৫৭৪.৩৫। থামল ৫৭,০৩৭.৫০ অঙ্কে। নিফ্টি-ও ১৭৭.৯০ এগিয়ে থিতু হয়েছে ১৭,১৩৬.৫৫-তে। তবে বিশেষজ্ঞ মহলের দাবি, এই ধরনের উত্থানে অস্থিরতা কাটার কোনও ইঙ্গিত নেই। বরং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ না থামলে এবং মূল্যবৃদ্ধির চড়া হারে রাশ টানার ব্যবস্থা না হলে সূচক আরও টালমাটাল হতে পারে। একাংশ অবশ্য পড়তি বাজারকে শেয়ারে লগ্নির সুযোগ হিসেবে দেখার পরামর্শ দিচ্ছেন। যদিও তাঁদের মতে, সংস্থা বাছতে হবে খুব সতর্ক ভাবে।
বাজার বিশেষজ্ঞ বিনয় আগরওয়ালের দাবি, পড়তি বাজারে বহু ভাল শেয়ার কম দামে কেনার হিড়িক সূচককে ঠেলে তুলেছে এ দিন। পরিসংখ্যান বলছে, উত্থানে প্রধান ভূমিকা নিয়েছে রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজ়। মুকেশ অম্বানীর সংস্থাটির শেয়ার দর বিএসই-তে এক ধাক্কায় ৩.০৩% বেড়ে হয়েছে ২৭১৮.৪০ টাকা। সেনসেক্সে রিলায়্যান্সের গুরুত্ব অত্যন্ত বেশি। সূচকটি উত্থানের বেশির ভাগটাই অর্জন করেছে তার উপরে ভর করে।
ক্যালকাটা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রাক্তন সভাপতি কমল পারেখ বলেন, এখনও বহু সংস্থার শেয়ার দর বেশ উঁচুতে। কিন্তু তারা সকলেই ভাল অবস্থায় আছে বলা যাবে না। কারণ, এক দিকে কাঁচামালের চড়া দাম তাদের উৎপাদন খরচ বাড়িয়েছে। অন্য দিকে মূল্যবৃদ্ধির জেরে কমেছে বিক্রি। যার বিরূপ প্রভাব পড়তে বাধ্য সংস্থার লাভে। ফলে আগামী দিনে সেই সব শেয়ারের দরে বিপুল পতনের আশঙ্কা থাকছেই। একই মত বিনয়ের। তাঁর সতর্কবার্তা, পড়তি বাজারে কিছু লগ্নি আসলেও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং পণ্যের চড়া দামের জেরে অবস্থা ক্রমশ খারাপের দিকেই যাচ্ছে।
বিএনকে ক্যাপিটাল মার্কেটসের এমডি অজিত খণ্ডেলওয়ালের আবার দাবি, ‘‘যুদ্ধের ঝামেলা সহজে মিটবে বলে মনে হচ্ছে না। ফলে বাজারে অস্থিরতা কমার সম্ভাবনাও কম। তবে ভারতের শেয়ার বাজারের ভিত এখনও মজবুত। কিছু দিন পড়ার পরেই আবার উত্থান দেখছেন লগ্নিকারীরা। তাঁদের ক্ষতি পুষিয়ে যাচ্ছে।’’ তাঁর পরামর্শ এই পরিস্থিতিতে সাধারণ ক্ষুদ্র লগ্নিকারীদের খুব ভেবেচিন্তে ভাল সংস্থার শেয়ারে বিনিয়োগ করতে হবে।