Pradhan Mantri Ujjwala Yojana

উজ্জ্বল আঁচ

দারিদ্রসীমার নীচে থাকা পরিবারের হাতে রান্নার গ্যাস পৌঁছে দিতেই চালু হয়েছিল উজ্জ্বলা যোজনা। এর পরিসর বেড়েছে আরও। পাওয়ার শর্ত থেকে প্রকল্পের সুবিধা— সবটা মনে করালেন দেবপ্রিয় সেনগুপ্তইন্ডিয়ান অয়েলের রাজ্যের কর্তারা জানাচ্ছেন, রেশন কার্ড, আধার কার্ড এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ভিত্তিতে দরিদ্র পরিবারগুলির কাছে প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছে দেয় তিন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ইন্ডেন, ভারত গ্যাস এবং এইচপি গ্যাস। 

Advertisement
শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০১৯ ০৫:১৩
Share:

উজ্জ্বলা যোজনা। ফাইল চিত্র।

২০১৬ সালের ১ মে প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা চালু করে কেন্দ্র। উদ্দেশ্য, দারিদ্রসীমার নীচে (বিপিএল) থাকা পরিবারগুলিতে রান্নার গ্যাস পৌঁছে দেওয়া। পরিবারের এক জন মহিলা সদস্যের নামে দেওয়া হয় এই সংযোগ। গ্যাসের ভর্তুকিও জমা পড়ে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেই।

Advertisement

ইন্ডিয়ান অয়েলের রাজ্যের কর্তারা জানাচ্ছেন, রেশন কার্ড, আধার কার্ড এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ভিত্তিতে দরিদ্র পরিবারগুলির কাছে প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছে দেয় তিন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ইন্ডেন, ভারত গ্যাস এবং এইচপি গ্যাস।

এক নজরে উজ্জ্বলা যোজনা

Advertisement

দারিদ্র সীমার নীচে থাকা পরিবারের এক জন মহিলার নামে গ্যাস সংযোগ। সংযোগের ১,৬০০ টাকা আসে (প্রেশার রেগুলেটর ও সিলিন্ডারের সিকিউরিটি ডিপোজিট, সুরক্ষা পাইপ, গ্যাস সংযোগ, ডিজিসিসি বুকলেট) কেন্দ্রের ঘর থেকে। গ্রাহককে ওভেন আর সিলিন্ডার কিনতে হয়। সেই ওভেন ও প্রথম সিলিন্ডারের দাম ভর্তুকির টাকা থেকে কিস্তিতে মেটানোর সুযোগ মেলে। প্রথম ছ’টি সিলিন্ডারের ভর্তুকি ব্যাঙ্কে জমা পড়ে। সপ্তম সিলিন্ডারের ভর্তুকি থেকে ঋণের কিস্তি শোধ শুরু।

কাদের জন্য

এই প্রকল্পের সুবিধা কারা পেতে পারেন তা ঠিক করতে শুরুতে মাপকাঠি ধরা হয়েছিল ২০১১ সালের আর্থ-সামাজিক জাতি সমীক্ষার (এসইসিসি) রিপোর্ট। তার ভিত্তিতেই চিহ্নিত করা হয়েছিল পরিবারগুলিকে। কিন্তু তখন অভিযোগ ওঠে, অনেকেই সেই তালিকার বাইরে থেকে গিয়েছেন। সে কারণে আরও বেশি সংখ্যক দরিদ্র পরিবারকে প্রকল্পের আওতায় আনতে বাড়তি সাতটি মাপকাঠিকে ছাড়পত্র দেয় কেন্দ্র। এর মধ্যে যে কোনও একটি তালিকায় নাম থাকলেও প্রকল্পের সুবিধা মিলবে— তফসিলি জাতি-উপজাতি। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (গ্রামীণ)। অন্ত্যোদয় অন্ন যোজনা। বনাঞ্চলের বাসিন্দা। সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া শ্রেণি (এমবিসি)। চা বাগানে বর্তমান ও আগে থাকা জনজাতি। দ্বীপ ও নদীর দ্বীপের বাসিন্দা।

নতুন পদক্ষেপ

আর্থ-সামাজিক জাতি সমীক্ষা এবং অন্য সাতটি মাপকাঠির বাইরে থাকা দরিদ্র পরিবারগুলিকেও প্রকল্পের সুবিধা দেওয়ার ব্যাপারে সম্প্রতি সায় দিয়েছে কেন্দ্র। তার জন্য শর্ত:

পরিবারের আগে গ্যাস সংযোগ থাকা চলবে না। আবেদনকারীর রেশন কার্ড অবশ্যই থাকতে হবে। পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের আধার নম্বর বাধ্যতামূলক। আবেদনকারীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বাধ্যতামূলক। কেওয়াইসি নথির সঙ্গে তাঁকে ১৪ পয়েন্টের একটি মুচলেকাও (সেল্ফ ডিক্লারেশন) দিতে হবে।

১৪ পয়েন্ট মুচলেকা

এটি আসলে সম্পত্তি, সামাজিক প্রকল্প এবং উপার্জন সংক্রান্ত ঘোষণা। আবেদনকারী বা তাঁর পরিবারের কারও সেগুলির একটিও থাকলে প্রকল্পের সুবিধা মিলবে না। তার মধ্যে কয়েকটি হল: দুই, তিন বা চার চাকার গাড়ি বা মাছ ধরার নৌকা। তিন-চার চাকার কৃষি যন্ত্র। ৫০,০০০ টাকার বেশি ঋণ নেওয়ার কিষাণ ক্রেডিট কার্ড। পরিবারের কারও আয় মাসে ১০,০০০ টাকার বেশি আয়কর দিলে। পেশা কর দিলে। পাকা দেওয়াল ও ছাদের তিন বা তার চেয়ে বেশি ঘর। ফ্রিজ। ল্যান্ডলাইন ফোন। দুই বা তার বেশি মরসুমে পাঁচ একর বা তার বেশি সেচ জমি।

সিলিন্ডার

সাধারণ গ্রাহকদের মতোই উজ্জ্বলা যোজনাতেও বছরে ১৪.২ কেজি ওজনের ১২টি ভর্তুকির সিলিন্ডার পান। ৫ কেজির সিলিন্ডারও (৩৫টি) কিনতে পারেন। তবে সে ক্ষেত্রে ভর্তুকিও আনুপাতিক হারে কম হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement