আর্থিক বিষয়ক সচিব সুভাষ চন্দ্র গর্গ
চব্বিশ ঘণ্টা আগেই অর্থ মন্ত্রকের সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থার খবর ছিল, ২০০০ টাকার নোট ছাপা কমিয়ে আনা হয়েছে একেবারে। ইঙ্গিত ছিল, ছাপা যেটুকু হচ্ছে, তা সংখ্যায় নগণ্য। একই দিনে তৃণমূল সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদীর দাবি ছিল, সরকার যে দু’হাজার টাকার নোট ছাপা অনেক দিন বন্ধ করে দিয়েছে, তা সকলের জানা। এ নিয়ে জল্পনা আর জলঘোলা আরও বাড়ার আগেই শুক্রবার আর্থিক বিষয়ক সচিব সুভাষ চন্দ্র গর্গের ঘোষণা, ‘‘বাজারে ২০০০ টাকার নোটের জোগান এই মুহূর্তে যথেষ্ট। সেখানে এখন মোট যত টাকা আছে, তার ৩৫ শতাংশই রয়েছে ওই বড় অঙ্কের নোটে। তা নিয়ে সম্প্রতি নতুন করে কোনও সিদ্ধান্তও হয়নি।’’
নোটবন্দির পরে বাজারে আসার সময় থেকেই দেশের সব থেকে বড় অঙ্কের এই নোটকে তাড়া করেছে বিতর্ক। প্রশ্ন উঠেছে, কেন্দ্র যেখানে কালো টাকা নগদে লুকিয়ে রাখার প্রবণতায় কোপ মারতে নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেখানে নতুন করে ২০০০ টাকার নোট কেন? আগে সব থেকে বড় অঙ্কের নোট ছিল ১০০০। বিরোধীদের অভিযোগ, এই নোট এনে আসলে কালো টাকা নগদে রাখার আরও সুবিধা করেছে কেন্দ্র। আর সাধারণ মানুষ বিরক্তি প্রকাশ করেছেন তা ভাঙানোর ঝক্কি নিয়ে।
উল্টো দিকে গোড়া থেকেই অনেকের অনুমান, নোটবন্দির পরে এই নোট আসলে আনা হয় বাজারে তাড়াতাড়ি নগদের জোগান ফেরাতে। এক লপ্তে বাজারের মোট নগদমূল্যের ৮৬% নোট তুলে নেওয়ার পরে দ্রুত নতুন নোটে নগদ ফেরাতে নাকি এই রাস্তায় হাঁটতে বাধ্য হয়েছিল সরকার। যে কারণে প্রায়ই ঘুরপাক খেয়েছে প্রশ্ন, দীর্ঘ মেয়াদে এই নোট কি আদৌ থাকবে? নাকি ১০০, ২০০, ৫০০-র নোটের সংখ্যা বাড়লে ধীরে ধীরে তা তুলে নেওয়া হবে বাজার থেকে?
অনেকের দাবি, নোটবন্দির পর থেকে যে কোনও নোট তুলে নেওয়ার জল্পনা ছড়ালে, মানুষ যে দুশ্চিন্তায় পড়তে পারেন, তা বিলক্ষণ জানে কেন্দ্র। তাই দু’হাজারের নোট নিয়ে জল্পনা দানা বাঁধতেই গর্গের এই বিবৃতি।