ছবি: সংগৃহীত
সম্প্রতি এক ধাক্কায় পাঁচটি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিলগ্নিকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি সরকার। সেই তালিকায় রয়েছে ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনও (বিপিসিএল)। আর এর প্রতিবাদেই ২৮ নভেম্বর দেশ জুড়ে ধর্মঘটের ডেকেছে সংস্থার কর্মী সংগঠনগুলি। ২৫টি ইউনিয়ন তাতে শামিল হবে। ইতিমধ্যেই এই আন্দোলনের কথা বিপিসিএলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও বিভিন্ন রাজ্যের শ্রম দফতরকে জানিয়েছে তারা।
পূর্বাঞ্চলে বিপিসিএলের অন্যতম বড় কারখানা হলদিয়ায়। এই মুহূর্তে চরম অনিশ্চয়তায় সেখানকার সাত জন স্থায়ী এবং পঞ্চাশের বেশি অস্থায়ী কর্মী। বিপিসিএল এমপ্লয়িজ় ইউনিয়নের তরফে দাবি, ২০১৮ সালেও ৭০০০ কোটি টাকা লাভ করেছিল এই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা। অথচ দীর্ঘ দিন স্থায়ী পদে কর্মী বা শ্রমিক নিয়োগ হয়নি। মহারাষ্ট্র, গুজরাতের মতো পশ্চিমাঞ্চলের যে সব ইউনিটে উৎপাদন ও বিপণন সবচেয়ে বেশি, সেখানেও বহু দিন ধরে স্থায়ী কর্মীর সঙ্কট চলছে।
এই অবস্থায় সংস্থা বিলগ্নিকরণের সিদ্ধান্তে উদ্বিগ্ন হলদিয়া কারখানার কর্মীরাও। বিপিসিএলের তৃণমূল সমর্থিত এমপ্লয়িজ় ইউনিয়নের ডেপুটি জেনারেল সেক্রেটারি অলোককুমার দাস বলেন, ‘‘আমজনতা এবং কর্মীদের স্বার্থ রক্ষার তাগিদে বিপিসিএলের বিলগ্নিকরণ করা উচিত নয়। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদেই একদিনের ধর্মঘটে শামিল হচ্ছি।’’
তবে আরএসএস ঘনিষ্ঠ ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কার্যকরী সভাপতি প্রদীপকুমার বিজলির বক্তব্য, ‘‘যে সব রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বেসরকারিকরণ হবে, সেখানে কর্মীদের কোনও অসুবিধা হবে না। বরং তাঁদের কাজের দক্ষতা এবং উৎপাদন ক্ষমতা আগের তুলনায় বাড়বে।’’