প্রতীকী ছবি।
করোনার জেরে বিশ্ব অর্থনীতি প্রবল ধাক্কা খাচ্ছে। শেয়ার বাজারগুলোতেও ধস নামছে। বিশ্ব জুড়ে এ রকম একটা আর্থিক টালমাটাল অবস্থার মধ্যেই অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যাপক হারে কমল। প্রায় ৩০ শতাংশ পড়ে গিয়েছে তেলের দাম। ১৯৯১-এ উপসাগরীয় যুদ্ধের পর এই প্রথম এতটা দাম পড়ল, এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশ্ব বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম গত কয়েক মাস ধরেই একটু একটু কমছিল। ফলে তেল উত্পাদক এবং রফতানিকারক দেশগুলোর ব্যবসায় প্রভাব পড়ছিল। অপরিশোধিত তেলের দাম যাতে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা যায় তা নিয়ে সম্প্রতি তেল রফতানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ( ওপেক) সদস্য দেশগুলিকে নিয়ে বৈঠকে বসেছিল। সেখানে সদস্য দেশগুলোকে তেল উত্পাদন কমানোর কথা বলা হয়। কিন্তু তাতে সায় দেয়নি অধিকাংশ সদস্যই। ফলে বৈঠক ভেস্তে যায়।
এর মধ্যেই সৌদি আরব আগামী এপ্রিল থেকেই তেলের উত্পাদন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর তার জেরেই বিশ্ব বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম হু হু করে পড়তে শুরু করে। সোমবার এশিয়ার বাজার খোলার কিছু ক্ষণের মধ্যেই দাম ৩০ শতাংশ কমে যায়।
আরও পড়ুন: গ্রেফতারই হলেন ইয়েস ব্যাঙ্কের রাণা, মুম্বইতে আটকানো হল মেয়েকে
আরও পড়ুন: ইটালিতে ‘গৃহবন্দি’ ১ কোটি ৬০ লক্ষ, করোনা-হানা বাংলাদেশেও
অন্য দিকে, এপ্রিল থেকে তেল উত্পাদন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি আরব। প্রতি দিন ১ কোটি ব্যারেল অতিরিক্ত তেল উত্পাদন করবে বলে জানিয়েছে তারা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সৌদির এই সিদ্ধান্ত সরাসরি আন্তর্জাতিক তেল বাজারে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে।
তেলের উত্পাদন বাড়ানো এবং দাম কমানো নিয়ে ইতিমধ্যেই ঠান্ডা যুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে সৌদি আরব এবং রাশিয়ার মধ্যে। বিশ্বের বৃহত্তম তেল রফতানিকারক দেশ সৌদি। তার পরেই স্থান রাশিয়ার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাশিয়াকে শায়েস্তা করতেই তেলের উত্পাদন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অপরিশোধিত তেলের দাম কমায় লাভবান হবে ভারতের মতো তেল আমদানিকারক দেশগুলো।