—প্রতীকী ছবি।
অক্টোবরের শুরুতে শেয়ার বাজার মন্দাই রইল। সোমবার এক হাজার পয়েন্ট পতনের পর মঙ্গলবারও লগ্নিকারীদের মুখে হাসি ফোটাল না শেয়ার বাজার। এ দিন বাজার বন্ধ হওয়ার পর দেখা যায় ৮৪,২৬৬.২৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়ে রয়েছে সেনসেক্স। অর্থাৎ সোমবারের তুলনায় খুব সামান্য পতন লক্ষ করা গিয়েছে সেনসেক্সে। প্রায় ০.০৪ শতাংশ। একই ভাবে সামান্য পতন হয়েছে নিফটিতেও। ১৩.৯৫ পয়েন্ট নেমে দিনের শেষে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের (এনএসই) শেয়ার সূচক চলে আসে ২৫৭৯৬.৯ পয়েন্টে।
মঙ্গলবার বাজার খোলার পর বেশ কিছু সংস্থার স্টক সামান্য লাভ করলেও, সামগ্রিক বাজার বিনিয়োগের ক্ষেত্রে খানিকটা সতর্কতা নিয়েই চলেছে। অনিশ্চিত অর্থনৈতিক সূচকগুলির অনিশ্চয়তার কারণে বাজার গতি প্রকৃতি কোনদিকে এগোবে তা নির্ধারণে দোলাচল ছিল।
সাম্প্রতিককালে চিনের কিছু পদক্ষেপ বিদেশি লগ্নিকারীদের আকৃষ্ট করেছে। শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ভারতের ঘরোয়া বাজারে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করে দেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। আজও সেই দিকেই তাকিয়ে ছিলেন বিনিয়োগকারীরা। চিনের স্টকগুলিতে পুনরুদ্ধারের সম্ভাব্য প্রভাবগুলির দিকেও নজর ছিল বাজারের। মিড-এবং ছোট-ক্যাপ সূচকগুলি তাদের লার্জ-ক্যাপ সমকক্ষগুলিকে ছাড়িয়ে গেছে, নিফটি মিডক্যাপ সূচক ০.৩৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং নিফটি স্মল ক্যাপ সূচক ০.৭৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে৷
টেক মাহিন্দ্রা, এম ও এম, ব্রিটানিয়া ইন্ডাস্ট্রিজ-এর শেয়ারগুলির মুনাফা বে়ড়েছে। অন্যদিকে ইন্ডাসইন্ড ব্যাঙ্ক, এশিয়ান পেইন্ট, হিন্দুস্তান ইউনিলিভার, টাটা মোটরের শেয়ারের দাম কমেছে।
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: শেয়ার বাজারে লগ্নি বাজারগত ঝুঁকি সাপেক্ষ। আর তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনেই স্টকে বিনিয়োগ করুন। এতে আর্থিক ভাবে লোকসান হলে আনন্দবাজার অনলাইন কর্তৃপক্ষ কোনও ভাবেই দায়ী নয়।)