—প্রতীকী ছবি।
শেয়ার বাজারে অব্যাহত সাপলুডোর খেলা! নভেম্বরে লেনদেনের শেষ দিনে চড়ল সূচক। তবে সাড়ে ৭০০ পয়েন্টের বেশি উঠলেও ৮০ হাজারের গণ্ডি স্পর্শ করতে পারল না সেনসেক্স। অন্য দিকে নিফটি ছাড়িয়েছে ২৪ হাজার পয়েন্ট। বাজারের এই পারফরম্যান্সকে মন্দের ভাল বলেছেন লগ্নিকারীরা।
শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ৭৯,৮০২.৭৯ পয়েন্টে বন্ধ হয়েছে বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ (বিএসই)। ফলে সেনসেক্স বৃদ্ধি পেয়েছে ৭৫৯.০৫ পয়েন্ট। অর্থাৎ, সূচকের লেখচিত্রে ০.৯৬ শতাংশ ঊর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। এ দিন বাজার খোলার সময়ে ৭৯,০৩২.৯৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছিল সেনসেক্স। দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ ৭৯,৯২৩.৯০ পয়েন্টে ওঠে এই সূচক।
অন্য দিকে ২৪,১৩১.১০ পয়েন্টে বন্ধ হয়েছে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ (এনএসই)। এ দিন নিফটির সূচক বেড়েছে ২১৬.৯৫ পয়েন্ট। শতাংশের নিরিখে সেটি ০.৯১। এনএসই অবশ্য খুলেছিল ২৩,৯২৭.১৫ পয়েন্টে। দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ ২৪,১৮৮.৪৫ পয়েন্টে উঠতে দেখা গিয়েছে নিফটিকে।
নভেম্বরের শেষ লেনদেনের দিনে ২ হাজার ২৪১টি দাম বেড়েছে শেয়ারের। আবার দর পড়ে যাওয়া স্টকের সংখ্যা ১ হাজার ৫৬৪। এ ছাড়া ৮৮টি শেয়ারের সূচকে কোনও উত্থান-পতন হয়নি।
নিফটিতে সর্বাধিক লাভ করেছেন ভারতী এয়ারটেল, সিপলা, সান ফার্মা, এম অ্যান্ড এম এবং আদানি পোর্টসের লগ্নিকারীরা। আবার দর পড়ে যাওয়ায় পাওয়ার গ্রিড, শ্রীরাম ফিন্যান্স, হিরো মোটোকর্প, নেসলে এবং অ্যাপলো হাসপাতালের শেয়ারহোল্ডারদের লোকসানের মুখ দেখতে হয়েছে।
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক এবং রিয়্যাল এস্টেট ছাড়া অধিকাংশ সংস্থাই এ দিন সবুজ জ়োনে শেষ করেছে। গাড়ি নির্মাণকারী, শক্তি, ফার্মা এবং মিডিয়া সংস্থাগুলির স্টকের সূচক বৃদ্ধি পেয়েছে এক থেকে দু’শতাংশ।
বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে মাঝারি পুঁজির সংস্থাগুলির শেয়ারের গ্রাফ ০.৩ শতাংশ প্রসারিত হয়েছে। আবার দিনভর ০.৭ শতাংশ ঊর্ধ্বমুখী থেকেছে মাঝারি পুঁজির সংস্থাগুলির স্টকের গ্রাফ। ডিসেম্বরে শেয়ার বাজারে ফের বিদ্যুৎগতি দেখা যায় কি না, সেই উত্তর দেবে সময়।
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: শেয়ার বাজারে লগ্নি বাজারগত ঝুঁকি সাপেক্ষ। আর তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনেই স্টকে বিনিয়োগ করুন। এতে আর্থিক ভাবে লোকসান হলে আনন্দবাজার অনলাইন কর্তৃপক্ষ কোনও ভাবেই দায়ী নয়।)