প্রতীকী ছবি।
রাজ্যে তাদের এলাকায় বিদ্যুতের দাম হালে এক লাফে অনেকটাই বাড়িয়েছে দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন (ডিভিসি)। যার ফলে দুর্গাপুর-আসানসোল এলাকার ইস্পাত কারখানাগুলির আর্থিক বোঝাও বেড়েছে। বিকল্প হিসেবে দীর্ঘ মেয়াদে ও সস্তায় পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থাকে বিদ্যুৎ জোগানোর জন্য রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী শশী পাঁজার কাছে আর্জি জানালেন মার্চেন্টস চেম্বারের প্রতিনিধিরা। না হলে ব্যবসা বন্ধও হয়ে যেতে পারে বলে তাঁদের একাংশের আশঙ্কা।
বস্তুত, ডিভিসি এত দিন রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার চেয়ে প্রতিযোগিতার বাজারে এগিয়ে ছিল শিল্পকে সস্তায় বিদ্যুৎ জোগান দিয়েই। সেই সূত্রে বণ্টন সংস্থার কাছে বিদ্যুতের মাসুল হ্রাসের আর্জি জানাত রাজ্যের শিল্প মহল। মার্চেন্টস চেম্বারের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ললিত বেরিওয়ালা ও অন্যেরা জানান, ঝাড়খণ্ডে ডিভিসি মাসুল না বাড়ালেও এ রাজ্যে তা অনেকটাই বাড়িয়েছে। ইস্পাতের মতো উৎপাদনমুখী শিল্পে বিদ্যুতের খরচ যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। তাই শিল্পোন্নয়ন নিগমের কাছেও সস্তায় বিদ্যুৎ জোগানের আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা। সে ক্ষেত্রে অন্তত পাঁচ বছরের জন্য মাসুল-প্রতিশ্রুতি চায় শিল্প। দুর্গাপুর-আসানসোল শিল্পাঞ্চলে মাসে ইস্পাতের কারখানাগুলি বিদ্যুতের বিল বাবদ ডিভিসি-কে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা দেয় বলে খবর।
ডিভিসি সূত্র জানাচ্ছে, ফুয়েল সারচার্জ বাবদ এ রাজ্যের গ্রাহকদের থেকে বাড়তি অর্থ আদায়ে অনুমতি দিয়েছে বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কমিশন। এ ছাড়া আমদানি করা কয়লার দামের সঙ্গে বাড়তি মাসুল নেওয়ার কথা। কিন্তু তা ইউনিট প্রতি ৮০ পয়সার আশেপাশে থাকবে বলে আশা করা হলেও বাস্তবে বর্ষার জন্য দেশীয় কয়লার জোগানে অপ্রতুলতার কারণে বেশি কয়লা আমদানি করতে হয়েছে। ফলে ওই বাড়তি মাসুল তার চেয়ে বেশ হারে বাড়াতে হয়েছে তাদের। এ মাসে দেশীয় কয়লার জোগান বাড়ছে। তা অব্যাহত থাকলে আমদানি কমবে ও তার ফলে বড়তি মাসুল কমারই সম্ভাবনা। সে ক্ষেত্রে বিদ্যুতের বিলও কমবে। আর ঝাড়খণ্ডের বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের শর্ত থাকায় সাময়িক ভাবে সেখানে মাসুল বাড়েনি। পরে তা আদায় করার সুযোগ রয়েছে।