প্রতীকী ছবি।
এক দিকে আবাসনের চাহিদা বৃদ্ধি, অন্য দিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে জোগানের অনিশ্চয়তা। এই দুই কারণে বছরের শুরু থেকে ইস্পাতের দাম বাড়ছিল। কিন্তু বর্ষায় নির্মাণের কাজে ভাটা পড়ায় তা ফের কমতে থাকে। তবে ইস্পাত সংস্থাগুলি মনে করছে, এই দাম আরও নামার সম্ভাবনা বিশেষ নেই। বরং নভেম্বর থেকে তা ফের কিছুটা মাথা তুলবে।
ইস্পাত শিল্পের একাংশের মতে, ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে পণ্যটি সরবরাহ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হয়েছিল। সেই সঙ্গে যোগ হয় চিনে ইস্পাত রফতানির উপরে বিধিনিষেধ। তাতেই দাম বাড়ে। তবে হালে প্রায় ৪০% কমে টনে দর হয়েছে ৫৫,০০০-৫৭,০০০ টাকা। শ্যাম স্টিলের ডিরেক্টর ললিত বেরিওয়াল বলেন, ‘‘সাধারণত বর্ষায় নির্মাণের কাজ বন্ধ থাকে। ফলে কমে ইস্পাতের চাহিদা। বছরের গোড়ায় দাম বাড়লেও তাই জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে দ্রুত তা কমেও এসেছে।’’
তবে নভেম্বর থেকে ফের দাম বাড়তে পারে বলে মনে করছেন জেএসডব্লিউ-র জয়েন্ট এমডি ও গ্রুপ সিইও শেষাগিরি রাও। তাঁর কথায়, ‘‘ইস্পাতের দাম যা পড়ার পড়ে গিয়েছে। আর পড়বে বলে মনে হয় না। বরং আগামী দিনে তা বাড়তে শুরু করবে।’’ তাঁর ব্যাখ্যা, চাহিদা কমায় সারা বিশ্বে মোট ৬.২০ লক্ষ কোটি টন উৎপাদন কমিয়েছে ইস্পাত সংস্থাগুলি। এর উপরে অদূর ভবিষ্যতে দেশে ইস্পাতের চাহিদা ফের বাড়বে। ফলে বাড়বে দামও। তিনি বলেন, ‘‘দেশে এ বছর ইস্পাতের মোট চাহিদা আগের বছরের থেকে ৯০ লক্ষ টন বেড়ে ১১.১৫ কোটি টনে দাঁড়াতে পারে।’’ তবে ওয়ার্ল্ড স্টিল অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, ২০২২ সালে সারা বিশ্বের চাহিদা ২.৩% কমে ১৭৯.৬৭ লক্ষ কোটি টনে ঠেকবে।