প্রতীকী ছবি।
বেড়াতে যাওয়ার আগে ঘর ও পরিষেবার ছবি দেখে অনলাইনে হোটেল বুক করেন অনেক পর্যটক। তাঁদের সকলের অভিজ্ঞতাই যে ভাল, তা কিন্তু নয়। অনেক সময়ে গন্তব্যে পৌঁছে দেখা যায়, ছবির সঙ্গে বাস্তবের দূরত্ব অনেক। হোটেলের পরিষেবা ও পরিকাঠামোর প্রচারের তথ্যে এই গরমিল রুখতে উদ্যোগী হওয়ার কথা জানিয়েছে রাজ্যের পর্যটন দফতর।
বিদেশে পর্যটন শিল্পের দরবারে রাজ্যকে তুলে ধরতে পর্যটন দফতর ও বণিকসভা সিআইআইয়ের (পূর্বাঞ্চল) যৌথ উদ্যোগে সোমবার থেকে রাজারহাটের বিশ্ব বঙ্গ কনভেনশন সেন্টারে শুরু হয়েছে দু’দিনের সম্মেলন ‘ডেস্টিনেশন ইস্ট’। তার ফাঁকে রাজ্যের পর্যটন সচিব নন্দিনী চক্রবর্তী জানান, অনেক ক্ষেত্রেই হোটেলের তথ্যে গরমিলের অভিযোগ ওঠে। পর্যটকেরা ছবিতে যা দেখেছেন, বাস্তবেও যাতে সেই পরিষেবা পান, সে জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা তৈরির কথা ভাবা হচ্ছে। এ ছাড়াও দফতরের পোর্টালকে ঢেলে সাজানো, ডিজিটাল মাধ্যমের প্রচারে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব জানান, বিদেশি পর্যটকের পা রাখার নিরিখে দেশে পশ্চিবঙ্গ ষষ্ঠ স্থানে। সচিবের বক্তব্য, ২০১৮ সালের তুলনায় ২০১৯ সালে এ রাজ্যে ২.৫৭% বেশি ভিন দেশি পর্যটক পা রেখেছেন।
ইন্ডিগোর মূল সংস্থা ইন্টারগ্লোব এয়ারলাইন্সের সিইও রণজয় দত্ত জানান, চিনের পর্যটকেরা সব চেয়ে বেশি বিদেশে ঘুরতে যান। কিন্তু প্রায় ৬০ লক্ষ চিনা পর্যটক ভিয়েতনাম, তুরস্কের গেলেও ভারতে আসেন মাত্র ২.৫ লক্ষ। আরও বেশি বিদেশি পর্যটক টানার জন্য দু’টি পদক্ষেপের উপরে জোর দিয়েছেন তিনি। চিনের সঙ্গে কলকাতা-সহ ভারতের বিমান যোগাযোগ বাড়াতে হবে। এখান থেকে বেজিং ও সাংহাইয়ে সরাসরি উড়ান চালুর জন্য তাঁরা কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানিয়েছেন। দ্বিতীয়ত, এই শহরকে কেন্দ্র করে পর্যটন কেন্দ্রের ‘ত্রিভুজ’ গড়ে তুলতে হবে রাজ্যকে। যেমন দিল্লিকে কেন্দ্র করে আগরা, জয়পুর ত্রিভুজ গড়ে উঠেছে।