প্রতীকী ছবি।
এ বার বাজেটে মধ্যবিত্তদের আয়করে বিশেষ ছাড় মেলেনি। অতি ধনীদের আয়ের উপরে বসেছে বাড়তি সারচার্জ। আর ২৫% কর্পোরেট করের আওতায় আনা হয়েছে শুধু বছরে ৪০০ কোটি টাকা পর্যন্ত ব্যবসা করা সংস্থাগুলিকে। এ বার এই তিন পদক্ষেপেরই সম্পূর্ণ উল্টো পথে হাঁটল প্রত্যক্ষ কর বিধি সংক্রান্ত টাস্ক ফোর্সের সুপারিশ।
জুলাইয়ে বাজেট ঘোষণার পরেই মুখভার হয়েছিল শেয়ার বাজারের। বড় সংস্থাগুলি প্রশ্ন তোলে, রাজকোষে তারা বেশি কর ভরলেও, কর্পোরেট করের সুবিধা থেকে কেন বাদ দেওয়া হল তাদের? সারচার্জ নিয়েও শিল্প ও এক শ্রেণির বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থার (এফপিআই) মধ্যে দানা বাঁধে ক্ষোভ। যার জেরে টানা পড়তে থাকে সূচক। সুপারিশে সরকার ঘোষিত সেই সব প্রস্তাবেরই উল্টো সুর গেয়েছে প্রত্যক্ষ কর পর্ষদের সদস্য অখিলেশ রঞ্জনের নেতৃত্বে তৈরি ওই টাস্ক ফোর্স। বলেছে মধ্যবিত্ত, উচ্চবিত্তদের আয়কর ছাড় বাড়ানো, সারচার্জ তোলা, সব সংস্থার কর্পোরেট করই ২৫% করার কথা। ২৫ শতাংশের আওতায় আনতে বলা হয়েছে বিদেশি সংস্থাগুলিকেও, যাদের ৪০% হারে কর্পোরেট কর দিতে হয় এখন। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, এগুলি বাস্তবায়িত হলে কিছুটা স্বস্তি ফিরতে পারে অর্থনীতিতে। এই মুহূর্তে চাহিদার অভাবে যার বেশ কাহিল অবস্থা। অর্থ মন্ত্রক সূত্রের খবর, সুপারিশ কার্যকর হলে বছরে ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় যাঁদের, কমতে পারে তাঁদের বোঝা।
সম্প্রতি কাফে কফি ডে-র কর্ণধার ভি জি সিদ্ধার্থের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পরে আয়কর দফতরের বিরুদ্ধে ‘কর-সন্ত্রাসের’ অভিযোগও উঠেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে সেই সমস্যা দূর করতে আয়কর আইন আরও করদাতা-বান্ধব হোক। যাতে করদাতাদের হেনস্থা হতে না হয়। চেষ্টা করা হোক প্রত্যক্ষ কর বিধি এমন করার, যাতে মামলা কমে। কর সংক্রান্ত মতভেদ হলে করদাতার সঙ্গে কথা বলুক এক জনের বদলে একাধিক আয়কর অফিসারের কলেজিয়াম। মঙ্গলবার অর্থমন্ত্রীও করদাতা ও কর অফিসারদের সম্পর্কে বিশ্বাসের ভিত তৈরিতে জোর দেন।
অর্থমন্ত্রীর কাছে জমা পড়েছে প্রত্যক্ষ কর বিধি নিয়ে ওই রিপোর্ট। সূত্রের খবর, আয়কর, কর্পোরেট কর ব্যবস্থা ঢেলে সাজতে আমেরিকার মতো দেশে কর কাঠামোয় সাম্প্রতিক রদবদল খুঁটিয়ে দেখার পরেই সুপারিশ করেছে টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা।