চটকলের সমস্যা নিয়মিত খতিয়ে দেখতে বিশেষ ত্রিপাক্ষিক কমিটি গড়ছে রাজ্য। তাতে পাট শিল্পের ২২টি ইউনিয়নের প্রতিনিধি ছাড়া রাজ্য সরকার ও চটকল মালিকদের প্রতিনিধিরা থাকবেন। কমিটি গড়তে রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক ৩০ এপ্রিল শ্রমিক ও মালিকপক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসছেন। প্রস্তাবিত কমিটির চেয়ারম্যানও হবেন মলয়বাবু। প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচ্যুইটি, ইএসআই ইত্যাদির টাকা মেটানো নিয়ে চটকলের সমস্যাগুলির সমাধান করাই হবে এর প্রধান কাজ।
এ দিকে, ২ এপ্রিল পাট শিল্পে বেতন সংশোধন নিয়ে নতুন যে-চুক্তি হয়েছে, তাতে উৎপাদনশীলতা ভিত্তিক বেতনের উল্লেখ নেই। আগের দু’টি চুক্তিতেই তা ছিল। তৃণমূল ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেস অনুমোদিত ন্যাশনাল ফেডারেশন অব জুট ওয়ার্কার্সের সভাপতি শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘আগে দু’টি চুক্তিতে উৎপাদনশীলতা ভিত্তিক বেতনের শর্ত ছিল। তা বিলোপ করতে পেরেছি আমরা। এ বারই তৃণমূল ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেস পাট শিল্পে বেতন চুক্তিতে প্রথম সই করল।’’ চুক্তি মাফিক কোনও শ্রমিক প্রথম কাজে যোগ দিলে দৈনিক বেতন হবে ২৫৮ টাকা। আগে ছিল ১৬৭ টাকা। আছে মহার্ঘ ভাতাও। স্থায়ী শ্রমিকদের বেতন বেড়েছে মাসে ২৬ টাকা।
সিটু অনুমোদিত বেঙ্গল চটকল মজদুর ইউনিয়নের সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘রাজ্যে পাট নীতি চালুর জন্য আলোচনা শুরু হয়েছে। চটকল শ্রমিকদের বেতনক্রম চালুর বিষয়টি আমরা নীতিতে রাখার দাবি জানিয়েছি।’’