ক্রমে বাড়ছে সাড়া, চা ধর্মঘটে চাপে রাজ্য

মঙ্গলবারের তুলনায় এ দিন বেশি চা বাগান বন্ধ ছিল। জলপাইগুড়ি জেলায় ৮৯টি বাগানের মধ্যে ৪৬টিতেই কাজ হয়নি। আলিপুরদুয়ার জেলার ৬০টি বাগানের মধ্যে কাজ হয়নি ২০টিতে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি ও কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ অগস্ট ২০১৮ ০৫:৩১
Share:

দাগাপুর চা বাগান। ছবি- এএফপি।

শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি নিয়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ব্যর্থ হওয়ায় দার্জিলিং বাদে উত্তরবঙ্গে তিন দিনের চা বাগান ধর্মঘট ডেকেছিল বিরোধী শ্রমিক সংগঠনগুলি। মঙ্গলবার মিশ্র সাড়া হলেও বুধবার সেই ধর্মঘটে সাড়া মিলল বেশি। বাগান মালিকদের সংগঠন টি অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার দাবি, ক্ষতির অঙ্ক প্রায় ৪০ কোটি টাকা।

Advertisement

এ দিন চা বাগানের গেটে, বাগিচার ভিতরে পুলিশ পাহারা দেখা গিয়েছে। সিটুর অভিযোগ, আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রাম, সঙ্কোশ, নিউল্যান্ডস চা বাগানে শ্রমিকদের কাজে যোগ দিতে চাপ দিয়েছে পুলিশ। আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার সুনীল যাদব বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, কোথাও বন্‌ধ করা যাবে না। পুলিশ আদালতের নির্দেশ মেনে কাজ করছে।’’

যদিও সরকারি হিসেব বলছে, মঙ্গলবারের তুলনায় এ দিন বেশি চা বাগান বন্ধ ছিল। জলপাইগুড়ি জেলায় ৮৯টি বাগানের মধ্যে ৪৬টিতেই কাজ হয়নি। আলিপুরদুয়ার জেলার ৬০টি বাগানের মধ্যে কাজ হয়নি ২০টিতে। তরাইয়ের অধিকাংশ বাগানে আংশিক কাজ হয়েছে। শ্রমিকের সংখ্যা হাতে গোনা। পাহাড়ের বাগানগুলি স্বাভাবিক ছিল। তৃণমূলের বক্তব্য, ধর্মঘট ব্যর্থ। চা শ্রমিকদের দাবির নিষ্পত্তি চেয়ে শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটককে চিঠি দিয়েছেন বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement