চ্যাটার্জি গোষ্ঠীর প্রকল্পে জমির আশ্বাস

বুধবার এ প্রসঙ্গে রাজ্যের শিল্প সচিব রাজীব সিন্‌হা জানান, ৮০০ একর জমি ইতিমধ্যে দেখা হয়েছে। শুরু হয়েছে সমীক্ষা। দু’সপ্তাহের মধ্যে তার রিপোর্ট টেবিলে আসবে বলেও তাঁর দাবি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দিঘা শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০১৭ ০৪:১৬
Share:

পূর্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়

চ্যাটার্জি গোষ্ঠীর প্রস্তাবিত শোধনাগারের জন্য ৭০০ একর জমি ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করা হয়েছে বলে আশ্বাস দিল রাজ্য।

Advertisement

বুধবার এ প্রসঙ্গে রাজ্যের শিল্প সচিব রাজীব সিন্‌হা জানান, ৮০০ একর জমি ইতিমধ্যে দেখা হয়েছে। শুরু হয়েছে সমীক্ষা। দু’সপ্তাহের মধ্যে তার রিপোর্ট টেবিলে আসবে বলেও তাঁর দাবি। ওই প্রকল্পের জন্য ৭০০ একর ইতিমধ্যে ঠিক করে রাখা হয়েছে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।

গত বছর বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিটে শোধনাগার গড়তে ২০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন চ্যাটার্জি গোষ্ঠীর কর্ণধার পূর্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়। এ জন্য ১,৫০০ একর লাগবে বলে জানায় সংস্থা। এ দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে সেই শোধনাগারের বিষয়টি ওঠে। হলদিয়া পেট্রোকেমের কর্তা অশোক কুমার ঘোষ জানান, ওই শোধনাগার হলে, কাঁচামালের খরচ কমবে।

Advertisement

উল্লেখ্য, যে শোধনাগার তৈরির প্রস্তাব চ্যাটার্জি গোষ্ঠী দিয়েছে, তার উৎপাদন ক্ষমতা হওয়ার কথা বছরে ১ কোটি ৫০ লক্ষ টন। হলদিয়া পেট্রোকেমে কাঁচামাল হিসেবে বিপুল পরিমাণে ন্যাপথা প্রয়োজন হয়। তার বেশিরভাগটাই আমদানি করতে হয়। শোধনাগার হলে, সেই খরচ অনেকটাই কমবে বলে সংস্থার দাবি।

এ দিন রাজীববাবুকে প্রকল্পের বিষয়টি দেখতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তার সুবিধা-অসুবিধায় নজর রাখতে বলেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কেও।

শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্র বলেন, রাজ্যে হলদিয়া পেট্রোকেম এবং মিৎসুবিশি কেমিক্যালের কারখানা ইতিমধ্যেই রয়েছে। সেই সঙ্গে নতুন শোধনাগার তৈরির প্রস্তাব দিয়েছে চ্যাটার্জি গোষ্ঠী। এতে অনুসারী শিল্পের প্রসার কী ভাবে হতে পারে, সেই বিষয়ে সার্বিক ভাবে নজর রাখছে রাজ্য সরকার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement