ফাইল চিত্র।
আগে ৫% বলা হলেও, এখন এলআইসি-তে তাদের অংশীদারির মাত্র ৩.৫% বিক্রি করতে নামছে কেন্দ্র। তবু ৪ মে বাজারে প্রথম শেয়ার ছাড়ার (আইপিও) আগে পলিসিহোল্ডারদের আশ্বস্ত করতে মাঠে নামল দেশের বৃহত্তম বিমা সংস্থাটি। এমডি সিদ্ধার্থ মোহান্তি শুক্রবার জানালেন, আইপিও আনতে সংস্থার আইন সংশোধিত হলেও ৩৭ নম্বর ধারাটি বদলায়নি। কাজেই পলিসিহোল্ডাররা বিমার টাকা ফেরত পাওয়ার ক্ষেত্রে সরকারি গ্যারান্টি পাবেন। তবে স্টক এক্সচেঞ্জে নথিবদ্ধ হলেই সাধারণ লগ্নিকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রির ন্যূনতম পরিমাণ মেনে চলার যে নিয়ম বাকি সংস্থাগুলিতে প্রযোজ্য, এলআইসি-কে তার থেকে রেহাই দিতে চায় সরকার। লগ্নি এবং সরকারি সম্পদ পরিচালনা বিভাগের সচিব তুহিন কান্ত পাণ্ডের বার্তা, এ জন্য নিয়ন্ত্রক সেবির সঙ্গে কথা বলবে অর্থ মন্ত্রক।
বিরোধীরা অবশ্য অস্থির শেয়ার বাজারে তাড়াহুড়ো করে এলআইসি-র আইপিও আনা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশের অভিযোগ, শেয়ার দামকেও (৯০২-৯৪৯ টাকা) রাখা হয়েছে যোগ্যতার তুলনায় অনেক নীচে। তাঁর প্রশ্ন, কী কারণে মোদী সরকার তড়িঘড়ি শেয়ার বেচতে নেমে তার দাম এত কম রাখল? রমেশের টুইট, ওই দাম দেখে জ্যাকপট জেতার আশায় বড় শেয়ার ব্যবসায়ীরা অধীর। মোদী সবই জানেন। সস্তায় শেয়ার কিনতে প্রয়োজনের তুলায় কয়েক গুণ বেশি আবেদনপত্র জমা পড়তে পারে। কিন্তু প্রশ্ন, কী দামে তা দেওয়া হচ্ছে? দাম যে আকর্ষণীয়, মানছেন এলআইসি-র চেয়ারম্যান এম আর কুমারও। তবে তাঁর মতে, সংস্থার বর্তমান মূল্যায়নের থেকে বেশি আকর্ষণীয় তার ভবিষ্যৎ মূল্য। সেই জায়গাটাই খোলা থাকল।
সেবির নিয়মে ১ লক্ষ কোটি টাকার বেশি মূল্যের সংস্থা আইপিও আনলে এক্সচেঞ্জে নথিভুক্তির ৫ বছরের মধ্যে কমপক্ষে ২৫% শেয়ার সাধারণ লগ্নিকারীদের কাছে বিক্রি করতে হয়। পাণ্ডে বলেন, এলআইসির মতো এত বড় সংস্থার শেয়ার বিক্রির প্রভাব বিবেচনা করেই তার পরিমাণ ঠিক হচ্ছে। আইপিও-র পরে বাজারে যাতে মূলধন সংগ্রহের সমস্যা না হয়, সেটাও দেখা হয়েছে।