jute

কাঁচা পাটের দাম বেঁধে দিল রাজ্য

বৈঠকের পরে শ্রমমন্ত্রী জানান, পাটের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে ও জোগানে ঘাটতি রুখতেই সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২০ ০৬:০৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

কাঁচা পাটের মাত্রাছাড়া দামে নাভিশ্বাস উঠেছে চটশিল্পের। এই পরিস্থিতিতে দর কোনও ভাবেই কুইন্টালে ৬০০০ টাকার বেশি উঠতে পারবে না বলে শুক্রবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল রাজ্যে চটশিল্পের জন্য গঠিত মন্ত্রিগোষ্ঠীর জরুরি বৈঠকে। তবে জোগান ঠিক রাখতে ৫০০ কুইন্টালের বেশি কাঁচা পাট মজুত করা যাবে না বলে জুট কমিশনারের অফিস যে নির্দেশ দিয়েছে, আপাতত তা-ই বহাল থাকছে। পাশাপাশি বলা হয়েছে, পাট অত্যাবশ্যক পণ্য বলে এই শিল্পে স্বাভাবিক কেনাবেচা শুরু করতে হবে।

Advertisement

মাসের শুরুতে রাজ্যে কাঁচা পাটের দাম ছাড়িয়েছিল কুইন্টালে ৬০০০ টাকা। দাম নিয়ন্ত্রণ ও জোগান বাড়াতে তা মজুতের পরিমাণ ৫০০ কুইন্টালে বেঁধে দেওয়া হয়। পাট উৎপাদক জেলাগুলিতে শুরু হয় তল্লাশি অভিযানও। চটকল মালিকদের একাংশের অভিযোগ, বেআইনি মজুতের কারণে কাঁচা পাটের দাম বাড়ায় বস্তার উৎপাদন মার খাচ্ছে। সমস্যা সমাধানে মন্ত্রিগোষ্ঠীর বৈঠক ডাকতে রাজ্যকে আর্জি জানায় তাঁদের সংগঠন আইজেএমএ। চলতি সপ্তাহে প্রথমে খাদ্য দফতর আইজেএমএ-কে আলোচনায় ডাকে। তার পরেই মন্ত্রিগোষ্ঠীর বৈঠক ডাকা হয়।

এ দিন বৈঠকে ছিলেন মন্ত্রিগোষ্ঠীর চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্র, শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক, জুট কমিশনার মলয়চন্দন চক্রবর্তী, আইজেএমএ এবং পাট ব্যবসায়ীদের সংগঠন জুট বেলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (জেবিএ) সদস্যেরা। সেখানে জেবিএ-র দাবি, চটকলগুলিতে কাঁচা পাটের অভাব নেই। উৎপাদনও বন্ধ হয়নি। বরং মজুত বাঁধার নির্দেশে ব্যবসায়ীদের ব্যবসা চালাতে সমস্যা হচ্ছে।

Advertisement

সমস্যা কোথায়

• গত ক’মাসে লাগাতার বেড়েছে পাটের দাম।

• টান পড়েছে কাঁচা পাটের জোগানে।

• অভিযোগ উঠছে বেআইনি মজুতের।

পদক্ষেপ

• ৫০০ কুইন্টালের বেশি কাঁচা পাট মজুত করা যাবে না।

• শুরু তল্লাশি অভিযানও।

• বাজেয়াপ্ত বাড়তি
কাঁচা পাট।

বৈঠকে ঠিক হল

• পাটের দাম রাখতে হবে ৬০০০ টাকার নীচে।

• স্বাভাবিক পাট কেনাবেচা শুরু করতে হবে।

• কাঁচা পাট মজুত নিয়ে নির্দেশ বহাল।

• পরিস্থিতি বুঝে নেওয়া হবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত।

বৈঠকের পরে শ্রমমন্ত্রী জানান, পাটের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে ও জোগানে ঘাটতি রুখতেই সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পরে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতিতে নজর রাখা হবে। ডিসেম্বরের পরবর্তী বৈঠকে বাদবাকি সিদ্ধান্ত হবে। সূত্রের খবর, ১৪ ডিসেম্বর সেই বৈঠক হতে পারে। তবে আগামী দিনে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না-হলে সরকার কড়া পদক্ষেপ করতে বাধ্য হবে বলেও এ দিন বৈঠকে বার্তা দেওয়া হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement