State Electricity Distribution

বিদ্যুতে নির্দেশের বিরুদ্ধে আর্জি

গ্রাহক ঠিক সময়ে বিদ্যুতের বিল না মেটালে তা বিচ্ছিন্ন করাই নিয়ম। পরে বকেয়া মিটিয়ে ফের সংযোগ নিতে চাইলে, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা ও নতুন সংযোগ দেওয়ার পরিষেবা হিসেবে খরচ দিতে হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ মে ২০২৩ ০৫:৩৯
Share:

সার্বিক ভাবে গ্রাহকদের বিদ্যুৎ বিল বৃদ্ধির আশঙ্কা কার্যত নেই। প্রতীকী চিত্র।

রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার মাসুল সংক্রান্ত বিষয়ে রাজ্য বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের নির্দেশ (ট্যারিফ অর্ডার) কার্যকর হলে, গ্রাহকদের বোঝা বাড়বে বলে দাবি তাঁদের সংগঠন অ্যাবেকা-র। সেই সব নির্দেশ কার্যকর না করার আর্জি জানিয়ে বণ্টন সংস্থার শীর্ষ কর্তা থেকে আঞ্চলিক কর্তাদের কাছে মঙ্গলবার স্মারকলিপি দিয়েছে তারা।

Advertisement

গ্রাহক ঠিক সময়ে বিদ্যুতের বিল না মেটালে তা বিচ্ছিন্ন করাই নিয়ম। পরে বকেয়া মিটিয়ে ফের সংযোগ নিতে চাইলে, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা ও নতুন সংযোগ দেওয়ার পরিষেবা হিসেবে খরচ দিতে হয়। বণ্টন সংস্থা সূত্রের খবর, সম্প্রতি সেই খরচ পাঁচ গুণ বাড়িয়ে ৫০০ টাকা করার প্রস্তাবে সায় দেয় কমিশন। বণ্টন সংস্থাটি তা কার্যকরের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না নিলেও, তাদের কিছু জেলার কার্যালয়ে সেই টাকা আদায়ের নির্দেশকে ঘিরে বিতর্ক দেখা দেয়। অ্যাবেকার প্রশ্ন, এটি কার্যকর হলে নিম্নবিত্ত বা সাধারণ গ্রাহক ভুগবেন। বিশেষত যাঁরা আর্থিক সমস্যায় বিল মেটাতে পারেননি। ফের সংযোগ নিতে গেলে পাঁচ গুণ বেশি টাকা দেবেন কী ভাবে? পাশাপাশি বণ্টন সংস্থার আরও কিছু চার্জ বৃদ্ধির প্রস্তাবে কমিশন সায় দিয়েছে দাবি করে, তা নিয়ে আপত্তি তুলেছে তারা।

যদিও বিদ্যুৎ ক্ষেত্র সূত্রের খবর, সার্বিক ভাবে গ্রাহকদের বিদ্যুৎ বিল বৃদ্ধির আশঙ্কা কার্যত নেই। কারণ কিছু চার্জ বাড়ানোর পাশাপাশি কিছু ক্ষেত্রে তা কমানোরও প্রস্তাব রয়েছে কমিশনের তরফে। তবে সংশ্লিষ্ট ওই সূত্রের দাবি, প্রান্তিক গ্রাহকদের কিছু ছাড় দিলেও সাধারণ ভাবে মাসুল না বাড়লে বণ্টন সংস্থার আর্থিক পরিস্থিতি সঙ্কটজনক অবস্থায় পৌঁছচ্ছে। অতিরিক্ত এবং পরিবর্তনশীল খরচের বোঝা বাড়লেও, সেই খরচের বোঝা বইতে হচ্ছে বণ্টন সংস্থাকেই।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement