এত দিন কী করছিলে, তলব তিন সংস্থাকে

আইএল অ্যান্ড এফএসের আর্থিক অনিয়ম খতিয়ে দেখতে এ বার অর্থ মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটি মাঠে নামছে। তলব করা হচ্ছে সংস্থার নতুন পরিচালন পরিষদের শীর্ষ কর্তাদের। তার সঙ্গে স্টেট ব্যাঙ্ক ও এলআইসির শীর্ষ কর্তাদেরও ৩০ অক্টোবর মুম্বইয়ে কমিটির সামনে ডেকে পাঠানো হচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০১৮ ০২:৩০
Share:

আইএল অ্যান্ড এফএসের আর্থিক অনিয়ম খতিয়ে দেখতে এ বার অর্থ মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটি মাঠে নামছে। তলব করা হচ্ছে সংস্থার নতুন পরিচালন পরিষদের শীর্ষ কর্তাদের। তার সঙ্গে স্টেট ব্যাঙ্ক ও এলআইসির শীর্ষ কর্তাদেরও ৩০ অক্টোবর মুম্বইয়ে কমিটির সামনে ডেকে পাঠানো হচ্ছে।

Advertisement

সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান তথা কংগ্রেস নেতা বীরাপ্পা মইলি বলেন, ‘‘স্টেট ব্যাঙ্ক ও এলআইসির ৩০ শতাংশের বেশি মালিকানা ছিল। সেই জন্য তাদেরও ডাকা হচ্ছে।’’ স্টেট ব্যাঙ্ক, এলআইসি সাধারণ মানুষের সঞ্চয়ের টাকাই লগ্নি করছে। সে ক্ষেত্রে আইএল অ্যান্ড এফএস ডুবছে দেখেও তারা কী করছিলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হবে। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে সংসদে রিপোর্ট পেশ করা হবে। সে ক্ষেত্রে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনেই ওই রিপোর্ট পেশ হবে। মইলি বলেন, ‘‘পরিবহণ মন্ত্রকের প্রতিনিধিদেরও ডেকে পাঠানো হবে। কারণ সড়ক পরিকাঠামোর প্রকল্প রূপায়ণের সঙ্গে আইএল অ্যান্ড এফএস যুক্ত ছিল।’’

কংগ্রেস আগেই সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে তদন্তের দাবি তুলেছে। কেন্দ্র অবশ্য কোম্পানি বিষয়ক মন্ত্রকের এসএফআইও-কেই তদন্তের ভার দিয়েছে। এসএফআইও সূত্রের খবর, আইএল অ্যান্ড এফএসের হিসেব পরীক্ষার দায়িত্বে যে সব সংস্থা ছিল, তাদের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কেন তারা আগেই সতর্ক করলেন না, তা দেখা দরকার। কোম্পানি নিবন্ধকের প্রাথমিক রিপোর্টেও অডিটর বা হিসেব পরীক্ষকদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। নথি খতিয়ে দেখে বোঝা যাচ্ছে, লোকসানে চলা সত্ত্বেও আইএল অ্যান্ড এফএস দেনা করে শেয়ার মালিকদের ডিভি়ডেন্ড দিচ্ছিল। মইলিরও সেখানেই প্রশ্ন। তিনি বলেন, ‘‘কী ভাবে সংস্থা এত দেনায় ডুবল? কাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তা জানা দরকার।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement