দেশে আকরিক লোহার মূল্যবৃদ্ধিতে রাশ টানতে আলাদা নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ গড়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দাবি করেছে স্পঞ্জ আয়রন শিল্প। পশ্চিমবঙ্গ-সহ লাগোয়া চারটি রাজ্যের স্পঞ্জ আয়রন সংস্থার মালিকদের সংগঠনগুলি এই আর্জি জানিয়েছে। তাদের অভিযোগ, লৌহ আকর খনির মালিকরা বাজারে কৃত্রিম ভাবে দাম বাড়াতে উৎপাদন কমিয়ে রাখছেন। এমনকী এনএমডিসিও উৎপাদন কমিয়েছে বলে তাঁদের অভিযোগ। এর ফলে নজিরবিহীন ভাবে বেড়ে গিয়েছে তার দাম। তাই কঠিন সমস্যায় স্পঞ্জ আয়রন এবং সংশ্লিষ্ট শিল্প, যাদের কাঁচামাল আকরিক লোহা।
বুধবার এক সাংবাদিক বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গ, ছত্তীসগঢ়, ওড়িশা এবং ঝাড়খণ্ডের স্পঞ্জ আয়রন কারখানার মালিকরা বলেন, ইস্পাতের দাম দিন দিন কমছে। অথচ লৌহ আকরের দাম বাড়ছে হু হু করে। এর ফলে বিশেষ করে যে-সব সংস্থার নিজস্ব খনি নেই, তারা চূড়ান্ত সমস্যায় পড়েছে। বহু সংস্থা উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছে। অনেকগুলি বন্ধের মুখে। এর ফলে স্পঞ্জ আয়রন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত বহু কর্মী কাজ হারাতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন মালিকরা।
ছত্তীসগঢ়ের স্পঞ্জ আয়রন ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রাজীব কপূর বলেন, লৌহ আকরের দাম আকাশ ছোঁয়া হয়ে যাওয়ায় যে-সব ছোট সংস্থার নিজস্ব খনি নেই, তাদের উৎপাদন খরচ অনেক বেশি। এ ধরনের ছোট সংস্থার উৎপাদন ক্ষমতা বছরে ১০ লক্ষ টনের নীচে। রাজীববাবু বলেন, ‘‘লৌহ আকরের দাম ২০০৫ সালে টন প্রতি ১৫৬৫ টাকা ছিল। তা এখন ৩৫০০ থেকে ৪০০০ টাকা। অথচ যে-সব বড় ইস্পাত সংস্থার নিজস্ব খনি রয়েছে, তাদের ওই বাবদ খরচ টন প্রতি ৫০০ টাকার মতো। তাই আমাদের পক্ষে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকাই দায় হয়ে উঠেছে। এর জন্যই আমরা লৌহ আকরের দাম নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি করছি।’’