Indian Economy

ফের তরজা অর্থনীতির বহর নিয়ে

কমিটির সঙ্গে বৈঠকে ছিলেন আর্থিক বিষয়ক সচিব অজয় শেঠ, মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা ভি অনন্ত নাগেশ্বরন, নীতি আয়োগের সিইও পরমেশ্বরন নায়ার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০২২ ০৫:৪৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন, ২০২২-এর মধ্যে ভারত ৫ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতি হবে। কোভিডের ধাক্কায় অর্থনীতির বহর বৃদ্ধির বদলে সঙ্কুচিত হয়েছিল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সম্প্রতি বলেছেন, জিডিপি ৫ লক্ষ কোটি ডলার হবে ২০২৫ সালের মধ্যেই। আজ সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সামনে অর্থ মন্ত্রকের কর্তারা জানালেন, অন্তত ৬.৫% আর্থিক বৃদ্ধির হার বজায় থাকলেও সেটা সম্ভব ২০২৬-২৭ অর্থবর্ষের মধ্যে। বিরোধীদের প্রশ্ন, জিডিপি এ বছর ৩.৫ লক্ষ কোটি ডলার হবে বলে অনুমান। প্রতি বছর আর্থিক বৃদ্ধির নিয়মে এমনিতেই তা বাড়তে বাড়তে ৫ লক্ষ কোটি ছোঁবে! এতে মোদী সরকারের কৃতিত্ব কোথায়?

Advertisement

কমিটির সঙ্গে বৈঠকে ছিলেন আর্থিক বিষয়ক সচিব অজয় শেঠ, মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা ভি অনন্ত নাগেশ্বরন, নীতি আয়োগের সিইও পরমেশ্বরন নায়ার। তাঁরা জানান, বিশ্ব বাজারে মন্দার আশঙ্কা ঘনালেও ভারতের অবস্থা যথেষ্ট ভাল। এ বছর আর্থিক বৃদ্ধি ৬.৫% ছোঁবে। মূল্যবৃদ্ধি নামবে ৬ শতাংশের নীচে। বরং আমেরিকা, ইউরোপে মূল্যবৃদ্ধি অনেক চড়া। ঋণে সুদের হার অনেক বেশি বাড়াতে হয়েছে তাদের।

সরকারি কর্তারা যখন স্থায়ী কমিটিতে অর্থনীতি নিয়ে এমন বড়াই করছেন, তখন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের কাছে শিল্পমহলের দাবি, অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে বাজেটে কেনাকাটা বাড়ানোর ব্যবস্থা করুক সরকার। আয়করে ছাড় দিক। জিএসটি-তে করের হার যুক্তিসঙ্গত করা হোক। নির্মলা সোমবার থেকে বাজেটের প্রস্তুতি হিসেবে শিল্পের সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছেন। শুক্রবার রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের সঙ্গে বসবেন। বণিকসভা সিআইআই পরিকাঠামোয় খরচ বৃদ্ধির দাবি তুলেছে। পিএইচডি চেম্বারের বার্তা, কেনাকাটা বাড়লেই বেসরকারি লগ্নি বাড়বে।

Advertisement

সূত্রের দাবি, স্থায়ী কমিটিতে মণীশ তিওয়ারি, সৌগত রায়ের মতো বিরোধী সাংসদরা প্রশ্ন তুলেছেন, মোদী সরকার কর্পোরেট করে ছাড় দেওয়ার পরে কতটা বেসরকারি লগ্নি এসেছে? প্রশ্ন উঠেছে টাকার পতন, ভোজ্যতেলের দাম নিয়ে। বিজেপি সাংসদদের মধ্যে সুশীল মোদীও অর্থনীতির বেহাল দশা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। কমিটির চেয়ারম্যান জয়ন্ত সিন্‌হা জানতে চান, কোভিডে পড়াশোনা বন্ধ থাকায় প্রশিক্ষণহীন কর্মীদের বাজারে আসার ফল কী হবে! সরকারি কর্তাদের দাবি, গ্রামের তুলনায় শহরের অর্থনীতি অনেকটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ফলে শ্রমিকরা ফের শহরে কাজ করতে যাচ্ছেন। খাদ্যশস্যের সঙ্কটও নেই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement