৪জি পরিষেবা বিএসএনএলের। — ফাইল চিত্র।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গত বছর স্বাধীনতা দিবসে বিএসএনএলের ৪জি পরিষেবা চালু করতে চেয়েছিলেন। আধিকারিক সংগঠনের এক সভায় তাঁর সেই ইচ্ছের কথা জানান এই রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থাটির শীর্ষ কর্তা পি কে পুরওয়ার। ছ’মাস গড়িয়ে গিয়েছে, ইচ্ছে বাস্তবায়িত হয়নি। যে দেশীয় প্রযুক্তিতে সরকার বিএসএনএলের ৪জি আনতে চেয়েছিল, তা চূড়ান্ত না হওয়ায় পরিষেবা শুরুর দিনক্ষণ নিয়ে ধোঁয়াশা কাটেনি। এরই মধ্যে সংস্থা সূত্রের খবর, এখন তা চূড়ান্ত হওয়ার পরে পঞ্জাবের একাংশে আগামী এপ্রিলে তাদের ৪জি চালুর সম্ভাবনা। সেখানে আপাতত ২০০টি ৪জি বিটিএসের (টাওয়ার, অ্যান্টেনা-সহ অনুষঙ্গিক সার্বিক পরিকাঠামো) জন্য দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি যন্ত্রের সরবরাহও শুরু হয়ে গিয়েছে।
প্রতিদ্বন্দ্বী দুই সংস্থা, রিলায়্যান্স জিয়ো এবং ভারতী এয়ারটেল ৪জি পেরিয়ে দেশে ধাপে ধাপে ছড়িয়ে দিচ্ছে ৫জি পরিষেবা। অথচ বিএসএনএলে পুরনো প্রযুক্তির ৩জি নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে। মোদী সরকার বছর খানেক ধরে বার বার দ্রুত রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থাটির ৪জি চালু হবে বলে আশ্বাস দিলেও, কাজের কাজ কিছু হয়নি। যে কারণে কর্মী-সহ সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ সন্দেহ প্রকাশ করেছে সরকারের সদিচ্ছা নিয়েও।
খবর ছিল, দেশীয় প্রযুক্তির অন্যতম নির্মাতা টিসিএস যন্ত্রের দাম নিয়ে বিএসএনএলের সঙ্গে সহমত ছিল না। সংস্থার শীর্ষ স্তর সূত্রের খবর, মত পার্থক্য মিটেছে। পঞ্জাবের একাংশে ৪জি পরিষেবার যন্ত্রের জোগান শুরু হয়েছে। বসানোর পরে কিছু জায়গায় মাস দেড়েকের মধ্যে তা চালু হবে বলে আশাবাদী সংস্থাটি।
দেশের অন্য প্রান্তে কবে ৪জি চালু হবে, তা নিয়ে অবশ্য ইঙ্গিত দিতেও নারাজ বিএসএনএল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এর আগে দেশে ১ লক্ষ ৪জি টাওয়ারের মাধ্যমে পরিষেবা দেওয়ার কথা বলেছিলেন। সূত্রের খবর, সেই প্রস্তাব কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রকে পাঠানো রয়েছে। সায় মিললেই তার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রের বরাত দেবে সংস্থা। সরকারের তরফে কিছু আর্থিক সাহায্য পাওয়ার কথা থাকায়, এ জন্য অর্থ সংস্থানে কোনও সমস্যা হবে না বলেও দাবি তাদের।