—প্রতীকী চিত্র।
মোবাইল পরিষেবা সংস্থাগুলির দাবি ছিল, টেলি কমিউনিকেশন আইন এবং লাইসেন্সের আওতায় আনা হোক হোয়াটসঅ্যাপ, সিগনাল, টেলিগ্রামের মতো নেট ভিত্তিক (ওটিটি) অ্যাপকে। যদিও এর তীব্র বিরোধিতা করল অ্যাপগুলির সংগঠন ব্রডব্যান্ড ইন্ডিয়া ফোরাম (বিআইএফ)। সোমবার ফোরামের সভাপতি টি ভি রামচন্দ্রন বলেন, “এই প্রস্তাব সংবিধানের ১৪ নম্বর ধারার বিরোধী। কারণ এতে প্রতিটি নাগরিক এবং সংস্থার যে সমানাধিকার থাকে, তা ভঙ্গ হবে।” পাশাপাশি তাঁর বক্তব্য, ওটিটি মেসেজিং অ্যাপের সঙ্গে ফোন কল বা এসএমএস-কে গুলিয়ে ফেলা ঠিক নয়। দু’টির চরিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। টেলি সংস্থা অনেক অতিরিক্ত সুবিধা ভোগ করে, যা এই অ্যাপগুলি পায় না।
শুক্রবার টেলি সংস্থা ও এই শিল্পের সংগঠন সিওএআই-এর তরফ থেকে সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক ট্রাই-কে দেওয়া লিখিত প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, টেলি কমিউনিকেশন আইন, ২০২৩-এর আওতায় ওটিটি নির্ভর অ্যাপগুলি পড়ে না। কিন্তু সেখানে সমস্ত ধরনের যোগাযোগের মাধ্যমকেই এই আইনে আনার কথা বলা হয়েছে। তাই ওটিটি-র ক্ষেত্রেও সেই পথ খোলা। বিশেষত, বিশ্বে যে ভাবে ওটিটি অ্যাপের ব্যবহার বাড়ছে, তাতে গ্রাহকদের তথ্যের অপব্যবহার রুখতে এবং অ্যাপের মানদণ্ড বজায় রাখতে সেটা জরুরিও।
এই প্রসঙ্গেই বিআইএফ-এর দাবি, সাধারণ ফোন এবং ওটিটি-র চরিত্র আলাদা। টেলিকম সংস্থাগুলিও পরিকাঠামো তৈরি, স্পেকট্রাম ব্যবহারের মতো নানা ক্ষেত্রে বেশ কিছু সুবিধা পায়। যা ওটিটি-রা পায় না। তাদের হাতে না রয়েছে নেটওয়ার্ক, না টেলিকম পরিকাঠামো পরিচালনা করে ওই সব সংস্থা। ফলে এই দুই ক্ষেত্রকে একসঙ্গে দেখা ঠিক নয়।