—প্রতীকী চিত্র।
চিনের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি অনেকটাই বেড়েছে ভারতের। এই অবস্থায় বিশ্বের রফতানি
বাজারে দখল বাড়াতে নিতে সে দেশের সংস্থাগুলিকেই ভারতে টেনে আনার পক্ষে সওয়াল করল আর্থিক সমীক্ষা। সে জন্য চিন নীতি ফিরে দেখার দাবি জানিয়েছেন মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা ভি অনন্ত নাগেশ্বরন। বলেছেন, সেখানের প্রত্যক্ষ বিদেশি লগ্নি পাওয়ায় জোর দেওয়ার কথা। সমীক্ষা জানাচ্ছে, চিনের সংস্থাগুলি এ দেশে লগ্নি করলে শিক্ষা নিতে পারবেন উদ্যোগপতিরা। গতি পাবে উৎপাদন শিল্প। তাদের মাধ্যমে ভারতে তৈরি পণ্যের রফতানি বাড়ানো যাবে। তবে বাণিজ্য উপদেষ্টা জিটিআরআই-এর মতে, এতে স্বল্প মেয়াদে লাভ হলেও, পরে দেশের আর্থিক সুরক্ষা ও সার্বভৌমত্ব ধাক্কা খেতে পারে। উল্টে চিনের সংস্থাগুলির উপরে নির্ভরশীল হয়ে পড়বে ভারত। বন্ধ হতে পারে বহু দেশীয় সংস্থা। কাজ হারাবেন কর্মীরা।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে করোনার লকডাউনের মধ্যেই চিনের সঙ্গে সীমান্ত সংঘর্ষ নিয়ে উত্তপ্ত হয়েছিল দু’দেশের সম্পর্ক। যার পরে বলা হয়, ভারতের সঙ্গে সীমান্ত থাকা দেশগুলি থেকে লগ্নি আসার আগে লাগবে কেন্দ্রের সায়। চিনা পণ্য আমদানিতে বসে নিয়ন্ত্রণ। তবে তার পরেও চিনের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে।
এই অবস্থায় ‘চিন প্লাস ওয়ান’ নীতি থেকে মূলত দু’ভাবে লাভবান হওয়ার বার্তা দিয়েছে আর্থিক সমীক্ষা। বলা হয়েছে, প্রথমত বিশ্ব বাজারে চিনের জায়গা দখল করতে পারে ভারত। দ্বিতীয়ত সে দেশ থেকে প্রত্যক্ষ বিদেশি লগ্নিতে উৎসাহ দিতে পারে নয়াদিল্লি। এর মধ্যে দ্বিতীয়টিই সুবিধাজনক। কারণ তাতে চিনের সংস্থাগুলি থেকে শিক্ষা নিয়ে এগোতে পারবে ভারতের শিল্প।