প্রতীকী ছবি।
এক সপ্তাহের মধ্যেই বদলে গিয়েছে পরিস্থিতি। গত সপ্তাহের মঙ্গলবার আর্থিক স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন পর্ষদের বৈঠকের পরে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের ইঙ্গিত ছিল, এই অর্থবর্ষেই আসবে রাষ্ট্রায়ত্ত জীবন বিমা সংস্থা এলআইসি-র প্রথম শেয়ার (আইপিও)। আর এ সপ্তাহে তাঁর বক্তব্য, কেন্দ্র চাইলেও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘আগে যখন কথা হয়েছিল, তখনও যুদ্ধ শুরু হয়নি। কিন্তু এখন পুরোদস্তুর যুদ্ধ চলছে। ফলে এখন আবার নতুন করে বিষয়টি পর্যালোচনা করতে হবে।’’ তবে ব্যক্তিগত ভাবে তিনি যে মার্চেই আইপিও-টি আনার পক্ষপাতী, সে কথাও জানিয়েছেন নির্মলা। সেই সঙ্গে বলেছেন, ‘‘যদি অবস্থা এমন দাঁড়ায় যে আমাকে তা ভেবে দেখতে হবে, তা হলে তাতেও আপত্তি নেই।’’
এ দিকে, এখন সমস্ত বাড়তি লাভের ৯৫% পলিসিহোল্ডারদের মধ্যে বিতরণ করে এলআইসি। বাকি ৫% নিজেদের কাছে রাখে। সরকার বাদে তাদের কোনও শেয়ারহোল্ডার না থাকায় এই সুবিধা নেওয়া যায়। কিন্তু আইপিও-র পরে তা কমিয়ে ৯০% করার প্রস্তাব দিয়েছে সংস্থা। আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, এতে আদতে বিমাকারীর আয় কমতে পারে। নির্মলার যদিও মত, এই ভাগাভাগি বদলাতেই হত। বিভিন্ন দিক দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বিমাকারীর ক্ষতি হবে তা বলা যায় না। কারণ, শেয়ারহোল্ডার হওয়ার সুবাদে বেশি ডিভিডেন্ডের হাত ধরে টাকা আসবে তাঁদের পকেটে।