কর্মী প্রভিডেন্ট ফান্ডে (ইপিএফ) ন্যূনতম পেনশন বাড়ার সম্ভাবনা প্রবল। কিন্তু পিএফেই এ বছর বাড়তি সুদ মিলবে কি না, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।
২০১৮-১৯ অর্থবর্ষের জন্য পিএফে ৮.৬৫% সুদ দেওয়ার সুপারিশ করেছিল ইপিএফের অছি পরিষদ। অর্থ মন্ত্রক তাতে এখনও সুবজ সঙ্কেত দেয়নি। নর্থ ব্লকের আমলারা মনে করছেন, ৮.৫৫% থেকে বাড়িয়ে ৮.৬৫% করা হলেও, সেই বর্ধিত হারে সুদ দেওয়া কঠিন। কারণ, আর্থিক সঙ্কটে জর্জরিত আইএল অ্যান্ড এফএসে প্রায় ৫৭৪ কোটি টাকা লগ্নি রয়েছে ইপিএফের। সংস্থাটি তাদের ২১ কোটি টাকা সুদ মেটাতে পারেনি। ফলে কোথা থেকে কর্মীদের বাড়তি সুদ দেওয়া হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। সংসদের চলতি অধিবেশনের পরে অছি পরিষদের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা হবে।
সুদ একই রাখা নিয়ে অর্থ মন্ত্রকের কর্তাদের অন্য যুক্তি হল, স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্প, পিএফে সুদ বেশি বলে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে ব্যাঙ্কগুলি আমানতে তা কমাতে পারছে না। এর জেরে ঋণেও সুদ কমানো যাচ্ছে না। ফলে কম সুদে ঋণের অভাবে ধাক্কা খাচ্ছে শিল্প তথা অর্থনীতি।
প্রস্তাব
• ২০১৮-১৯ সালে ইপিএফে সুদ ৮.৬৫% করা। আগের বছর ছিল ৮.৫৫%। তা হলে তিন বছর পরে সুদ বাড়ত।
• দাবি, এতে উপকৃত হবেন অন্তত ৬ কোটি সদস্য।
• সওয়াল, পিএফের ন্যূনতম পেনশন হোক ৩,০০০ টাকা।
কেন্দ্রের যুক্তি
• আইএল অ্যান্ড এফএসে পিএফ তহবিলের ৫৭৪ কোটি টাকা লগ্নি হয়েছে। আর্থিক সঙ্কটে তারা ২১ কোটি সুদ মেটাতে পারেনি।
• স্বল্প সঞ্চয়, পিএফে সুদ বেশি থাকায় ব্যাঙ্কগুলি আমানতে সুদ কমাতে পারছে না। ফলে তা কমছে না ঋণেও। ধাক্কা খাচ্ছে অর্থনীতি।
• ন্যূনতম পেনশন নিয়ে অবশ্য ইপিএফও-র অছি পরিষদের সঙ্গে কথা শুরু হয়েছে।
তবে এরই মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের পিএফের পেনশন বাড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। শ্রমমন্ত্রী সন্তোষ গঙ্গোয়ার সংসদে জানান, ইপিএফ কর্তৃপক্ষ ও অছি পরিষদের সঙ্গে এ নিয়ে কথা শুরু হয়েছে। ২০১৪ সালে মোদী সরকার ১,০০০ টাকা ন্যূনতম পেনশন ধার্য করে। শ্রমিক সংগঠনগুলি তা ৩,০০০ টাকা করার দাবি তুলেছে। মন্ত্রীর যুক্তি, পেনশন ৩,০০০ টাকা হলে কেন্দ্রের ১১,৬৯৬ কোটি টাকা খরচ হবে। পিএফের পেনশন প্রকল্পে সদস্য রয়েছেন ৬০ লক্ষ। তার মধ্যে ৪০ লক্ষ মাসে ১,৫০০ টাকার কম পেনশন পান। ন্যূনতম পেনশন বাড়লে সকলেই উপকৃত হবেন।