প্রতীকী ছবি।
রাজ্য জুড়ে লকডাউনে আগামিকাল, বৃহস্পতিবার ব্যাঙ্কিং পরিষেবা চালু থাকবে কি না, তা নিয়ে ধন্দ তৈরি হয়েছে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্র এবং গ্রাহকদের মধ্যে। বিষয়টি স্পষ্ট করার আবেদন জানিয়ে মঙ্গলবার রাজ্য সরকারকে চিঠি দিল স্টেট লেভেল ব্যাঙ্কার্স কমিটি (এসএলবিসি)। আজ, বুধবার রাজ্যের ব্যাখ্যা তাঁদের হাতে আসবে বলে আশা এসএলবিসির আহ্বায়ক অশ্বিনী কুমার ঝায়ের। তার পরেই বিষয়টি স্পষ্ট হবে বলে তাঁর দাবি।
তবে শুধু আগামিকালই নয়, অগস্টের শেষ পর্যন্ত প্রতি সপ্তাহে দু’দিন করে রাজ্যে পূর্ণ লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সে ক্ষেত্রে এই পুরো মেয়াদে ব্যাঙ্কগুলির ক্ষেত্রে বিধি কী হবে, রাজ্যের বক্তব্যের পরে তা-ও বোঝা যাবে বলে ধারণা তাঁর।
এ দিন পূর্ণ লকডাউনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য, বিদ্যুতের মতো ১০টি অত্যাবশ্যক পরিষেবা ছাড়া প্রতি সপ্তাহে দু’দিন বাকি সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি অফিস, দোকানপাট, গণপরিবহণ বন্ধ থাকবে। ওই তালিকায় ব্যাঙ্ক নেই। ফলে লকডাউনে ব্যাঙ্কও বন্ধ থাকার কথা। অথচ আগের লকডাউনের সময়ে ব্যাঙ্ক খোলা ছিল। তাই এ বার কোন নিয়ম মানা হবে, তা নিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ না-থাকাতেই ধন্দ তৈরি হয়েছে বলে বক্তব্য কর্মীদের।
এসএলবিসি-র মতে, সাধারণ ছুটি ছাড়া অন্য দিনে ব্যাঙ্ক বন্ধ রাখতে হলে, তা নেগোশিয়েব্ল ইনস্ট্রুমেন্ট (এনআই) অ্যাক্ট মেনেই করতে হয়। কিন্তু রাজ্য সেই বিধিতে শনিবারের ছুটি ঘোষণা করলেও, নতুন লকডাউনের দিনগুলিতে ব্যাঙ্কের পরিষেবা ওই আইনে বন্ধ রাখার কথা জানায়নি। এই বিষয়টিই স্পষ্ট করতে বলেছে তারা।
তবে সরকারের অন্য সিদ্ধান্ত অনুসারে মঙ্গলবার থেকেই রাজ্যে সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টো পর্যন্ত সীমিত সময়ের ব্যাঙ্কিং পরিষেবা চালু হয়েছে। অধিকাংশ ব্যাঙ্ক এ দিনই তা শুরু করেছে। কিছু ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, আজ থেকে তা কার্যকর হবে।
এ দিকে, রাজ্য অগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত এনআই অ্যাক্টে শনিবার ব্যাঙ্ক ছুটির নির্দেশ দিয়েছে। অথচ ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, অগস্টের চতুর্থ সপ্তাহ পর্যন্ত প্রতি শনিবার এমনিই ব্যাঙ্ক বন্ধ। ফলে ওই ছুটির ক্ষেত্রে এনআই অ্যাক্ট অর্থহীন হয়ে পড়েছে বলে দাবি কর্মী সংগঠনগুলির। তার উপরে কর্মীদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে নতুন লকডাউনের দিনগুলিতে ওই আইনে ছুটি ঘোষণার দাবি জানিয়ে রাজ্যকে চিঠি দেওয়া হবে বলে দাবি আইবকের রাজ্য সম্পাদক সঞ্জয় দাস এবং এআইবিইএ-র সভাপতি রাজেন নাগরের।