ডিজিটাল লেনদেনে প্রতি গ্রামে ৫০ টাকা ছাড়। ফাইল চিত্র
দীপাবলি ও ধনতেরসের আগে সোনায় বিনিয়োগের মহা-সুযোগ। সপ্তম দফার সভেরেইন গোল্ড বন্ড বা স্বর্ণ ঋণপত্র বিক্রি শুরু হচ্ছে ২৫ অক্টোবর, সোমবার থেকে। কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে, এই দফায় বন্ড পাওয়া যাবে ২৫ থেকে ২৯ অক্টোবর। চলতি আর্থিক বছরে অর্থাৎ ২০২২ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত মোট চার দফায় সোভারিন গোল্ড বন্ড বিক্রি হবে। প্রসঙ্গত, এটি অষ্ঠম দফার সভেরেইন গোল্ড বন্ড।
অর্থমন্ত্রক জানিয়েছে, এ বার যে স্বর্ণ বন্ড বিক্রি হবে তাতে প্রতি গ্রাম সোনার দাম পড়বে ৪,৭৬৫ টাকা। অর্থাৎ প্রতি দশ গ্রাম সোনা কেনার জন্য দিতে হবে ৪৭,৬৫০ টাকা। তবে এর চেয়েও কম দামে কেনা যাবে। কেউ ডিজিটাল লেনদেনের মাধ্যমে বন্ড কেনেন, তবে প্রতি গ্রামে ৫০ টাকা করে ছাড় পাবেন। অর্থাৎ এক গ্রামের জন্য ৪,৭১৫ টাকা এবং দশ গ্রামের জন্য দাম পড়বে ৪৭,১৫০ টাকা। সুদ মিলবে বছরে ২.৫ শতাংশ হারে।
কেন্দ্রের নিয়ম অনুযায়ী, কোনও ব্যক্তি একটি অর্থবর্ষে সর্বোচ্চ ৪ কেজি সোনা কিনতে পারেন। অবিভক্ত হিন্দু পরিবারের ক্ষেত্রেও পরিমাণ এক। তবে কোনও ট্রাস্ট বা ওই ধরনের সংস্থা একটি আর্থিক বছরে সর্বোচ্চ ২০ কেজি সোনার বন্ড কিনতে পারে। আয়করের নিয়ম অনুযায়ী এই প্রকল্পে পাওয়া সুদে করছাড় নেই। তবে মেয়াদ শেষে বন্ড ভাঙানোর ক্ষেত্রে মূলধনী লাভকরে ছাড় রয়েছে। মেয়াদের আগে তা বিক্রি করলে দিতে হবে মূলধনী লাভকর। সোনা বন্ড গচ্ছিত রেখে নেওয়া যায় ঋণও।
ক্ষমতায় এসেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই বন্ড চালুর কথা বলেন। ২০১৫ সালের বাজেট বক্তৃতায় সভেরেইন গোল্ড বন্ড বাজারে আনার কথা জানিয়েছিলেন তৎকালীন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রয়াত অরুণ জেটলি। সেই বছরের নভেম্বরে চালু হয় বন্ড। সরকারি এই প্রকল্পে সবচেয়ে কম ১ গ্রাম সোনা কিনতে হয়। বছরে ২.৫০ শতাংশ হারে নিশ্চিত সুদ পাওয়া যায়। বন্ড হয় আট বছরের জন্য। তবে পাঁচ বছর পরে গ্রাহকরা প্রয়োজন হলে তা বিক্রি করে টাকা নিয়ে নিতে পারেন। এই বন্ড কেনার ক্ষেত্রেও ডিজিটাল লেনদেনে জোর দিচ্ছে কেন্দ্র। জানানো হয়েছে সপ্তম সভেরেইন গোল্ড বন্ড ডিজিটাল মাধ্যমে কিনলে প্রতি গ্রাম সোনায় ৫০ টাকা করে ছাড় পাওয়া যাবে। এই বন্ড বিক্রি হয় ব্যাঙ্ক ও নির্দিষ্ট কিছু ডাকঘরে। এ ছাড়াও স্টক হোল্ডিং কর্পোরেশন, ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ-সহ দেশের বড় এক্সচেঞ্জগুলির মাধ্যমেও তা কেনা যায়। ভারতে ইতিমধ্যেই সোনা কেনার এই পদ্ধতি সাধারণ মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। কারণ, ধাতব সোনায় যা যা সুবিধা পাওয়া যায়, তার সবই মেলে কাগুজে সোনায়। কিছু ক্ষেত্রে নিশ্চিত রিটার্নের মতো বাড়তি সুবিধাও মেলে। তার পাশাপাশি মেলে সুরক্ষা।