অনিশ্চয়তা বাড়াল রফতানিও

রফতানিকারী সংস্থাগুলির সংগঠন ফিয়ো-র প্রেসিডেন্ট শরদ কুমার শরাফের দাবি, এটা অনিশ্চয়তা, বিশ্ব বাজারে ঝিমিয়ে থাকা চাহিদা ও শুল্ক যুদ্ধের প্রতিফলন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০২:৫২
Share:

প্রতীকী চিত্র।

চাহিদার অভাবে দেশের অর্থনীতি যখন কাহিল, তখন খাঁড়ার ঘা রফতানি শিল্পেও। শুক্রবার সরকারি পরিসংখ্যান জানাল, অগস্টে ভারতের রফতানি কমেছে ৬.০৫%। দাঁড়িয়েছে ২,৬১৩ কোটি ডলারে। তবে আমদানিও ১৩.৪৫% কমে ৩,৯৫৮ কোটিতে নামায় বেশ খানিকটা কমেছে বাণিজ্য ঘাটতি। ওই সময়ে তা দাঁড়িয়েছে ১,৩৪৫ কোটি ডলারে।
তার পরেই সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির তোপ, যে গতিতে রফতানি ও আমদানি কমেছে, তাতে স্পষ্ট আর্থিক কর্মকাণ্ড সঙ্কুচিত হচ্ছে। তাঁর কটাক্ষ, ‘‘অর্থনীতি গভীর সঙ্কটে। এতে মাধ্যাকর্ষণ ও নতুন প্রজন্মের কিচ্ছু করার নেই।’’

Advertisement

ধাক্কা যেখানে


•কফি, চাল, ফল, আনাজ, মাংস ও দুগ্ধজাত পণ্য, ইঞ্জিনিয়ারিং ও বৈদ্যুতিন পণ্য, পেট্রোপণ্য, হস্তশিল্প, চর্মপণ্য প্রভৃতি।
কারণ
•চিন-মার্কিন শুল্ক-যুদ্ধ।
•আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে রক্ষণশীল নীতি।

Advertisement

রফতানিকারী সংস্থাগুলির সংগঠন ফিয়ো-র প্রেসিডেন্ট শরদ কুমার শরাফের দাবি, এটা অনিশ্চয়তা, বিশ্ব বাজারে ঝিমিয়ে থাকা চাহিদা ও শুল্ক যুদ্ধের প্রতিফলন। সহজে ও কম খরচে ঋণের সুবিধা, কৃষি রফতানিতে সাহায্য, বিদেশি পর্যটকদের পণ্য বিক্রিতে সুযোগ, জিএসটিতে আগে মেটানো করের টাকা দ্রুত ফেরতের মতো ক্ষেত্রে নজর দেওয়ার দাবি তুলেছেন তিনি। আশঙ্কা প্রকাশ করে কাঁচামালের খরচ কমানোর কথা বলেছেন ইইপিসি ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান রবি সেহগলও।
সরকারি হিসেবও বলছে, শুল্ক যুদ্ধ ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে আমেরিকার মতো দেশের রক্ষণশীলতা আঁকড়ে দেওয়াল তোলার চেষ্টাই এর জন্য দায়ী। যদিও শুধু ভারত নয়, শুল্ক যুদ্ধের জেরে যে গোটা বিশ্ব বাণিজ্যই হোঁচট খাচ্ছে, তা পরিষ্কার বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা, বিশ্বব্যাঙ্ক, আইএমএফের মতো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের রিপোর্টে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement