ভারতে হাতফেরতা গাড়ির ব্যবসায় এ বার স্কোডা

ভারতে হাতফেরতা গাড়ির ব্যবসা শুরু করেছে বড় ও দামি গাড়ির বহুজাতিক সংস্থাও। এ বার সেই ব্যবসায় পা রাখার কথা ভাবছে জার্মান বহুজাতিক স্কোডা অটো ইন্ডিয়া-ও। ব্যবসার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে চলতি বছরেই কয়েকটি পাইলট প্রকল্প চালুর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০১৫ ০১:১৩
Share:

ভারতে হাতফেরতা গাড়ির ব্যবসা শুরু করেছে বড় ও দামি গাড়ির বহুজাতিক সংস্থাও। এ বার সেই ব্যবসায় পা রাখার কথা ভাবছে জার্মান বহুজাতিক স্কোডা অটো ইন্ডিয়া-ও। ব্যবসার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে চলতি বছরেই কয়েকটি পাইলট প্রকল্প চালুর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।

Advertisement

সংস্থার ডিরেক্টর (সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং) আশুতোষ দীক্ষিত জানান, তাঁরা হাতফেরতা গাড়ির ব্যবসা শুরু করার কথা ভাবছেন। এবং তার সম্ভাবনা যাচাই করতে মুম্বই ও দিল্লিতে এ বছর কয়েকটি পাইলট প্রকল্প হাতে নেবেন তাঁরা। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে স্কোডার মূল সংস্থা ফোক্সভাগেন-এর হাতফেরতা গাড়ি ব্যবসার আলাদা ব্র্যান্ড রয়েছে। তবে ভারতের বাজারে ব্র্যান্ড কী হবে, তা নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, নতুন গাড়ির ব্যবসা বাড়ানোর অন্যতম বিপণন কৌশলই হাতফেরতা গাড়ির ব্যবসা। অনেক পুরনো গাড়ির ক্রেতা পরবর্তী কালে নতুন গাড়ি কেনেন। সে ক্ষেত্রে যে-সংস্থার হাতফেরতা গাড়ির ব্যবসা রয়েছে, তাদের পক্ষে ক্রেতাকে ধরে রাখা সহজ হয়। দেশের বাজারে এই পথে হেঁটেছে মারুতি-সুজুকি, হুন্ডাই, মহীন্দ্রা-সহ অনেক সংস্থাই। এমনকী সেই তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে মার্সিডিজ বেঞ্জ ইন্ডিয়া, বিএমডব্লিউ, অডি-র মতো দামি গাড়ি সংস্থাও।

Advertisement

বিশ্বের তৃতীয় প্রাচীন গাড়ি সংস্থা স্কোডা ভারতের বাজারে দীর্ঘদিন ব্যবসা করলেও এখনও বিক্রির হিসেবে অনেক সংস্থার চেয়েই কিছুটা পিছিয়ে। আশুতোষবাবুর অবশ্য দাবি, গুণগত মানের বিচারে ভারতীয় ক্রেতাদের মধ্যে তাঁদের গ্রহণযোগ্যতা যথেষ্টই। তাঁরা যেমন কম দামি গাড়ির বাজারে আসতে চান না, তেমনই ছাড় দিয়ে ক্রেতা টানারও পক্ষপাতী নন। দামি হলেও তাঁদের গাড়ির গুণমানই ক্রেতাদের আকর্ষণের কারণ। এবং সেটি তাঁরা বজায় রাখতে চান। আগের বারের চেয়ে চলতি বছরে গাড়ি বিক্রি ৮ থেকে ১০% বাড়বে বলেই তাঁদের আশা।

দিনভর ওঠাপড়া, নামল সেনসেক্স

নিজস্ব সংবাদদাতা: এক দিন ওঠার পরে ফের পড়ল শেয়ার বাজার। আগের দিন সেনসেক্স উঠেছিল ২১৯ পয়েন্ট। বুধবার নামল ১৭০.৪৫ পয়েন্ট। থিতু হল ২৭,২২৫.৯৩ অঙ্কে। এ দিন ডলারে টাকার দরও ১৫ পয়সা কমায় এক ডলারের দাম বেড়ে দাঁড়ায় ৬৩.৩০ টাকা। এর আগে টানা দু’দিন বেড়েছে টাকার দাম। বুধবার দিনভর সেনসেক্স ওঠানামা করে প্রায় ৩২৩ পয়েন্ট। অনিশ্চিত বাজারে সূচকের এই দ্রুত ওঠা-পড়া স্বাভাবিক বলেই মন্তব্য করেছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা। তবে সূচকের এই টানা পতনের প্রধান কারণ বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলির এক নাগাড়ে শেয়ার বিক্রি। অবশ্য বিশেষজ্ঞদের অনেকেরই ধারণা, বিদেশি লগ্নি সংস্থাগুলি শীঘ্রই ভারতে ফিরে আসবে। স্টুয়ার্ট সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান কমল পারেখ বলেন, ‘‘ভারতের বৃদ্ধি বিশ্বের অন্য যে-কোনও দেশের থেকে ভাল। তাই লগ্নির ক্ষেত্র হিসাবে ভারত যে বিদেশি সংস্থাগুলিকে সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট করবে, তা নিয়ে সন্দেহ নেই।’’ ক্যালকাটা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রাক্তন ডিরেক্টর এস কে কৌশিক বলেন, ‘‘বাজার অল্প কয়েক দিনেই ঘুরে দাঁড়াবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement