রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। —ফাইল চিত্র।
মোদী সরকারের পাখির চোখ ৫ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতি। অতিমারির ধাক্কা কাটিয়ে ভারতীয় অর্থনীতি ছুটছে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি গতিতে। কিন্তু রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের ঋণনীতি কমিটির অন্যতম সদস্য শশাঙ্ক ভিদের সতর্কবার্তা, চাহিদায় দুর্বলতা নিয়ে উদ্বেগের যথেষ্ট কারণ আছে।
আজ স্টেট ব্যাঙ্কের এক আলোচনাসভায় ভিদে বলেন, ‘‘জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধির হার ৭.৬% আশার চেয়ে অনেক বেশি। কিন্তু এই মূল্যায়নে কিছু আশঙ্কার দিকও রয়েছে। লগ্নির মতো কিছু মাপকাঠি বৃদ্ধির পালে হাওয়া আনলেও আমরা চাহিদায় দুর্বলতা লক্ষ্য করেছি।’’ তাঁর মতে, বর্ষার খামতি কৃষির বৃদ্ধি ও গ্রামীণ চাহিদায় প্রভাব ফেলতে পারে। সঙ্গে রয়েছে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা। তা ছাড়া আর্থিক অগ্রগতির সব ইঞ্জিন ভাল ভাবে কাজ করছে না। যেমন রফতানি কমেছে। তবে আজ প্রকাশিত রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের আর্থিক স্থিতিশীলতা রিপোর্টের মুখবন্ধে গভর্নর শক্তিকান্ত দাসের আশ্বাস, দেশের আর্থিক অগ্রগতির পথে কোনও ঝুঁকির সম্ভাবনা তৈরি হলে দ্রুত পদক্ষেপ করবে শীর্ষ ব্যাঙ্ক।
অন্য দিকে, স্টেট ব্যাঙ্কের অনুষ্ঠানে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের ডেপুটি গভর্নর স্বামীনাথন জে-র বক্তব্য, বড় অঙ্কের আমানতের দিকে ব্যাঙ্কগুলির ঝোঁক বাড়ছে। এগুলির জন্য বেশি সুদ গুনতে হয় তাদের। বাড়ে খরচ। কিন্তু সুদের হার যখন কমবে তখনও পুরনো আমানতগুলির জন্য ব্যাঙ্ককে বেশি সুদ দিতে হবে। তখন সুদ থেকে নিট আয়ে ক্ষয় ধরবে। বিরূপ প্রভাব পড়বে মুনাফায়। সে কারণে সুদ সংক্রান্ত ঝুঁকিকে এখন থেকেই সুচারু ভাবে সামাল দিতে হবে।