ফাইল চিত্র।
পুরনো বছরের শেষ দিনের মতোই নতুন বছরের প্রথম লেনদেনের দিনেও বড় লাফ দেখা গেল শেয়ার বাজারে। ৯২৯.৪০ পয়েন্ট উঠে সোমবার সেনসেক্স দিন শেষ করে ৫৯,১৮৩.২২ অঙ্কে। মাঝে অবশ্য এক সময়ে ১০১২.৫৭ পয়েন্ট বেড়েছিল। নিফ্টিও আগের দিনের থেকে ২৭১.৬৫ পয়েন্ট বেড়ে থামে ১৭,৬২৫.৭০ পয়েন্টে। গত কয়েক দিনে বাজারের উত্থান দেখে বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, ওমিক্রন বা অতিমারির তৃতীয় ঢেউকেও আগের দুই বারের মতো উপেক্ষা করবে শেয়ার বাজার। বরং তার নজর থাকবে অর্থনীতির মাপকাঠির উপরে। যত দিন না তাতে বিশাল ধাক্কা লাগছে বা দেশ জুড়ে লকডাউনের মতো ঘটনা ফের ঘটছে, তত দিন সূচকের অনেকটা নীচে নামার সম্ভাবনা কম।
প্রায় ২১ মাস আগে অতিমারির জন্য দেশব্যাপী লকডাউন শুরুর সময়েই ২০২০ সালের মার্চে ২৫,০০০ অঙ্কে নেমে গিয়েছিল সেনসেক্স। কিন্তু তার পরে অতিমারির কামড় সারা বিশ্বের মানুষকে কাবু করতে পারলেও থামাতে পারেনি শেয়ার বাজারের উত্থান। করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউ কাটিয়ে প্রায় টানা বেড়ে গত বছরের মাঝামাঝি রেকর্ড অঙ্কে পৌঁছয় সেনসেক্স এবং নিফ্টি। বাজার বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এ বারেও ওমিক্রনের চোখরাঙানি ঠেকাতে পারবে না সূচকের দৌড়কে।
শেয়ার বাজার নিয়ে গবেষণা সংস্থা ভ্যালু রিসার্চের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ধীরেন্দ্র কুমার বলেন, “অতিমারির সঙ্গে ঘর করার অভিজ্ঞতাও আমাদের ইতিমধ্যে হয়েছে। দেশের ৬০% মানুষের টিকাদান হয়ে গিয়েছে। তাই বর্তমান সংক্রমণ ঘিরে বাজারে কিছুটা আতঙ্ক ছড়ালেও, তা সূচকের ক্ষতি করতে পারবে না বলেই বিশ্বাস।’’
দেকো সিকিউরিটিজ়ের ডিরেক্টর আশিস নন্দীও বলেন, “এখন ভারতের এবং বিশ্বের অন্য বাজারগুলির অবস্থা বেশ ভাল। বিদেশি সংস্থাগুলি শেয়ার বেচলেও, ভারতীয় লগ্নিকারীরা বিপুল পুঁজি শেয়ারে ঢালছে। প্রথম শেয়ার ছাড়ার মাধ্যমে বিভিন্ন সংস্থার সফল নথিভুক্তিই যার প্রমাণ। সেই লগ্নি সূচকের উত্থানে রসদ জোগাবে।’’ সোমবার অবশ্য বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলি শেয়ার কিনেছে ৯০২ কোটি টাকার বেশি। আর ভারতীয় সংস্থাগুলি ৮০৩ কোটির।