Sensex

Sensex: এক দিনেই হারানো জমি ফিরে পেল শেয়ার বাজার

তবে চড়া মূল্যবৃদ্ধি, আমেরিকায় সুদ বৃদ্ধির সম্ভাবনা, অশোধিত তেলের দাম এখনও ব্যারেলে ৯০ ডলারের বেশি চিন্তা বাড়াচ্ছে।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৫:৪৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে, এই আশঙ্কায় সোমবার বিশ্ব জুড়েই পড়েছিল শেয়ার বাজার। ভারতে ১৭৪৭ পয়েন্ট নেমেছিল সেনসেক্স। আবার ইউক্রেন সীমান্ত থেকে রাশিয়ার সেনা সরানোর খবরে মঙ্গলবার আগের দিনের হারানো জমি প্রায় পুরোটাই ফিরে পেল সূচক। এ দিন সেনসেক্স বাড়ল ১৭৩৬.২১ পয়েন্ট। তবে চড়া মূল্যবৃদ্ধি, আমেরিকায় সুদ বৃদ্ধির সম্ভাবনা, অশোধিত তেলের দাম এখনও ব্যারেলে ৯০ ডলারের বেশি চিন্তা বাড়াচ্ছে।

Advertisement

এ দিন ৫৮,১৪২.০৫ অঙ্কে থেমেছে সেনসেক্স। নিফ্‌টি ৫০৯.৬৫ পয়েন্ট বেড়ে হয়েছে ১৭,৩৫২.৪৫। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সামরিক উত্তেজনা কমায় বিশ্ব জুড়েই উঠেছে শেয়ার বাজার। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নেমেছে অশোধিত তেলের দাম। দিনের মাঝে তা নেমেছিল প্রায় ২.৫%। যা সূচকের ঘুরে দাঁড়ানোয় রসদ জুগিয়েছে। আর রাতে ৪% কমে ব্যারেলে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম হয় ৯২.৪৮ ডলার। এ সবের জেরে বেড়েছে টাকার দামও। প্রতি ডলারের দর ২৮ পয়সা কমে হয়েছে ৭৫.৩২ টাকা।

শেয়ার বাজার নিয়ে গবেষণা সংস্থা ভ্যালু রিসার্চের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ধীরেন্দ্র কুমার বলেন, “যুদ্ধ পরিস্থিতি বাস্তবে কতটা তৈরি হয়েছিল, তা নিয়েই সন্দেহ রয়েছে। তাই সোমবার সূচক এতটা পড়ার যে অর্থ ছিল না, সেটা বোঝা গিয়েছে এ দিনের উত্থানে। তবে ভারতের অর্থনীতি বর্তমান অবস্থায় এগোনোর খুব একটা সহজ রাস্তা পাবে না। তাই বাজারে নগদের জোগানের অভাব না-থাকলেও সূচক অনিশ্চিতই থাকবে।” বাজারের অস্থিরতা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ক্যালকাটা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রাক্তন সভাপতি কমল পারেখও। তিনি বলেন, “বাজার যেখানে উঠেছে, সেখান থেকে তা পড়তেই পারে।’’

Advertisement

তার উপরে খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির হাত ধরে খুচরো বাজারের মূল্যবৃদ্ধি রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের ৬ শতাংশের সহনসীমা ছাড়ানোয় এবং টানা ১০ মাস ধরে পাইকারি মূল্যবৃদ্ধি ১০ শতাংশের উপরে থাকাও অর্থনীতি নিয়ে চিন্তা বাড়াচ্ছে বলে মনে করছে বাজার মহল। আমেরিকাতেও পাইকারি বাজারের মূল্যবৃদ্ধি জানুয়ারিতে দাঁড়িয়েছে ৯.৭%। ফলে সেখানে আরও জোরালো হয়েছে সুদ বৃদ্ধির সম্ভাবনা। তাই লগ্নিকারীরা আপাতত আমেরিকার শীর্ষ ব্যাঙ্ক ফেডারাল রিজ়ার্ভের সিদ্ধান্তের দিকে চোখ রাখবেন বলে মনে করছে বাজার।

তবে ভারতের বাজার নিয়ে এখনও আশাবাদী বাজার বিশেষজ্ঞ অজিত দে। তিনি বলেন, “সোমবার সূচক দেশের অভ্যন্তরের কোনও অস্থিরতায় পড়েনি। বরং তাতে প্রভাব পড়েছিল বিশ্ব বাজারের। এক দিনের মধ্যেই যে ভাবে সেনসেক্স, নিফ্‌টি ঘুরে দাঁড়িয়েছে, তা থেকেই পরিষ্কার দেশের বাজারের কতটা মজবুত।’’

কুমার এবং অজিতবাবু দু’জনেরই মতে, ভারতের বাজার এখন শুধু বিদেশি লগ্নিকারীদের অর্থের উপরে নির্ভরশীল নয়। তাঁদের কথার প্রমাণ মিলেছে এ দিনও। মঙ্গলবার ২২৯৮.৭৬ কোটি টাকা-সহ এ সপ্তাহে দু’দিনেই বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলি মোট শেয়ার বিক্রি করেছে ৬৫৫২.৪৬ কোটি টাকার। উল্টো পথে হেঁটে মিউচুয়াল ফান্ড-সহ ভারতীয় আর্থিক সংস্থাগুলি শেয়ার কিনেছে ৬৫৮১.৮৯ কোটির। শুধু এ দিন তাদের লগ্নির পরিমাণ ছিল ৪৪১১.৬০ কোটি টাকা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement