গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ হওয়ার পর পর শেয়ার বাজারে খুব একটা উত্থান-পতন লক্ষ করা গেল না। বাজেট শুরু হওয়ার পর পরই নিফটি ৫০ এবং সেনসেক্স সামান্য পড়লেও, দ্রুত আবার আগের অবস্থাতে ফিরে আসে। দিনের শেষে সামান্য পতন দেখল নিফটি আর সেনসেক্স।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা নাগাদ বাজেশ পেশ করা শুরু করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তার কিছু ক্ষণের মধ্যেই নিফটি ৬০ পয়েন্ট পড়ে যায়। সেনসেক্সের পতন হয় ১৭০ পয়েন্ট। দুপুর ১২টা নাগাদ নিফটি এবং সেনসেক্স আবার উঠতে শুরু করে। ওই সময় নিফটি ০.১১ শতাংশ বেড়ে হয় ২১,৭৪৮ এবং সেনসেক্স ০.২০ শতাংশ বেড়ে ৭১,৮৯৫ হয়।
গত সপ্তাহে শেয়ার বাজারের সূচকের গতি বার বারই নিম্নমুখী হয়েছে। তবে এ সপ্তাহের বাজেটের আগে পর্যন্ত বাজার কখনও ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। কখনও বড় পতন ঘটেছে। এই উত্থান-পতনের মধ্যেই বাজেট নিয়ে প্রত্যাশার পারদ চড়ছিল বাজারে। বুধবার পেটিএম নিয়ে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের নির্দেশের পর শেয়ার বাজারে বড় পতনের আশঙ্কা করছিলেন অনেকেই।
তবে বৃহস্পতিবার পেটিএমের শেয়ারদর পড়লেও সে ভাবে প্রভাব পড়েনি সূচকে। বাজার খোলার পর খুব ধীর গতিতেই এগোচ্ছিল। বাজেট শুরু হওয়ার আগে সেনসেক্স এবং নিফটি সামান্য পড়লেও, তা বেশি ক্ষণ স্থায়ী হয়নি। বাজেট শেষ হতেই আবার শেয়ার সূচক বাড়তে শুরু করে। তবে উল্লেখযোগ্য ভাবে এ দিন শেয়ারসূচকের উত্থানও হয়নি, আবার পতনও হয়নি। তবে বাজেটের আগে শেয়ার বাজারে যে প্রত্যাশার পারদ বাড়ছিল, বাজেটের পর তেমন প্রভাব লক্ষ করা গেল না।