প্রতীকী ছবি।
মূল্যবৃদ্ধির মাথা তোলা এবং তাকে নিয়ন্ত্রণে আরও সুদ বৃদ্ধির আশঙ্কা বৃহস্পতিবার ফের ধস নামাল ভারতের শেয়ার বাজারে। ১১৫৮ পয়েন্ট পড়ে সেনসেক্স নামল ৫২ হাজারের ঘরে। দাঁড়াল ৫২,৯৩০.৩১ অঙ্কে। টানা পাঁচটি লেনদেনে সূচক পড়ল মোট ২৭৭১.৯২। মুছল লগ্নিকারীদের ১৮.৭৪ লক্ষ কোটি টাকার শেয়ার সম্পদ। নিফ্টিও নেমেছে ১৫,৮০৮-তে। ডলারের সাপেক্ষে টাকার দামও রেকর্ড তলানিতে। ১ ডলার ২৫ পয়সা বেড়ে এই প্রথম ৭৭.৫০ টাকা হয়েছে। টাকা আগে কখনও এত নীচে নামেনি। সংশ্লিষ্ট মহলের আশঙ্কা, এতে অশোধিত তেল এবং কাঁচামাল আমদানি খরচ আরও বাড়বে। যা আরও ঠেলে তুলবে পণ্যের দামকে।
বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, আমেরিকা ফের চড়া মূল্যবৃদ্ধির পরিসংখ্যান প্রকাশের পরে সেখানে আরও সুদ বৃদ্ধির আশঙ্কায় এ দিন সব দেশের বাজার পড়েছে। শামিল ভারতও। বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলি শেয়ার বেচে চলেছে। ফলে টাকার দাম পড়ছে। এ দিন লগ্নিকারীরা আঁচ করছিলেন, ভারতেও মূল্যবৃদ্ধি আরও চড়বে এবং আরও সুদ বৃদ্ধির বাধ্যবাধকতা তৈরি হবে। তাঁদের মতে, আমেরিকার বাড়তি সুদ এ দেশ থেকে বিদেশি লগ্নি টেনে নিয়ে শেয়ার বাজারে নগদের জোগান কমাবে। আর দেশের বাড়তি সুদের বোঝা নগদের জোগান কমানোর পাশাপাশি চাহিদা কমিয়ে বিক্রিবাটাও কমাবে। আর্থিক বৃদ্ধির পথে বাধা নিতে পারছে না বাজার।
স্টুয়ার্ট সিকিউরিটিজ়ের কর্তা কমল পারেখের দাবি, “সূচকের ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষণ নেই। বিদেশি লগ্নি সংস্থাগুলি ঝুলি ফাঁকা করে শেয়ার বেচছে। বাজার কোথায় নামবে বলা কঠিন।’’ আর্থিক বিশেষজ্ঞ অনির্বাণ দত্তের মতে, “বিদেশি লগ্নিকারীরা শেয়ার বেচে পাওয়া টাকা ডলারে বদলে নেয়। ফলে ডলারের চাহিদা বাড়ে। তাই বাড়ে তার দামও। যা টাকার দামকে নামায়।’’ সুমেধা ফিসকালের ডিরেক্টর বিজয় মাহেশ্বরী বলছেন, “আমেরিকায় সুদের হার বৃদ্ধিই ওই লগ্নি টেনে নিচ্ছে। শেয়ার বাজারে নগদ কমছে। যুদ্ধ, তেলের দাম, মূল্যবৃদ্ধি, টাকার পতনের মতো কারণগুলি সূচককে এতটা অনিশ্চিত করেছে।’’