ষড়যন্ত্র করে প্রতারণার অভিযোগ চার্জশিটে

আইএল অ্যান্ড এফএস কাণ্ডের তদন্তে সম্প্রতি মুম্বইয়ের বিশেষ আদালতে প্রথম চার্জশিট জমা দিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। এই দফার চার্জশিটে মূলত আইএফআইএনের অনিয়মের কথাই বলা হয়েছে।

Advertisement
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০১৯ ০৩:৩৭
Share:

—ফাইল চিত্র।

আইএল অ্যান্ড এফএসের আর্থিক পরিষেবা শাখা আইএফআইএনের পূর্বতন পরিচালন পর্ষদের সদস্য, স্বাধীন ডিরেক্টর এবং অডিটরদের যোগসাজশে বিপুল আর্থিক নয়ছয় হয়েছে বলে চার্জশিটে অভিযোগ করল এসএফআইও।

Advertisement

আইএল অ্যান্ড এফএস কাণ্ডের তদন্তে সম্প্রতি মুম্বইয়ের বিশেষ আদালতে প্রথম চার্জশিট জমা দিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। এই দফার চার্জশিটে মূলত আইএফআইএনের অনিয়মের কথাই বলা হয়েছে। এসএফআইও সূত্রের বক্তব্য, এখনও পর্যন্ত যা দেখা যাচ্ছে তা হিমশৈলের চূড়া মাত্র। তদন্ত এগোলে আরও অনেক তথ্য সামনে আসবে। সংস্থার স্বাধীন ডিরেক্টর-সহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের পাশাপাশি সম্পত্তি ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্তের জন্য আদালতের কাছে আবেদন জানানোর পরিকল্পনা করেছে তারা। আইএফআইএন ব্যাঙ্ক থেকে ও বাজারের নানা প্রকল্পের মাধ্যমে যে যে ঋণ নিয়েছে, সেগুলি সম্পর্কে ইতিমধ্যেই খোঁজখবর নেওয়া শুরু করেছে এসএফআইও। এই কেলেঙ্কারিতে ব্যাঙ্ক, তার অফিসার ও রেটিং সংস্থা— কারও ভূমিকা রয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

গত বছর আইএল অ্যান্ড এফএস কাণ্ড সামনে আসে। তার আগেই দেউলিয়া হয়েছে ওই গোষ্ঠীর একাধিক শাখা সংস্থা। বকেয়া পড়েছে আরও বেশ কয়েকটির ঋণ। ২০১৮ সালের মার্চ পর্যন্ত গোষ্ঠীর মোট বকেয়া দাঁড়ায় ৯০,০০০ কোটি টাকার বেশি। শাখা সংস্থাগুলি যোগসাজশের মাধ্যমে একাধিক অলাভজনক সংস্থাকে ঋণ দিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। গত অক্টোবরেই গোষ্ঠীর পর্ষদ ভেঙে দিয়ে নতুন পর্ষদ তৈরি করেছে কেন্দ্র। যার শীর্ষে রাখা হয়েছে উদয় কোটাককে। তার পরে ফরেন্সিক অডিটের পাশাপাশি আইএল অ্যান্ড এফএসের সার্ভার-সহ বিভিন্ন উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছে এসএফআইও। পেশ করা চার্জশিটে ব্যক্তি ও সংস্থা মিলিয়ে ৩০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। যাঁদের মধ্যে কয়েক জন এখনই জেল হেফাজতে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement