গৌতম আদানি। ফাইল ছবি।
আদানি-মোদী সম্পর্ক নিয়ে আন্দোলনের ধার বাড়াবে কংগ্রেস। আগামী তিন মাস ধরে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক ও এলআইসি-র দফতরগুলির সামনে বিক্ষোভ দেখানো, বিভিন্ন রাজ্যে রাজভবন অভিযান-সহ নানা কর্মসূচি নিয়েছে তারা। জনসমাবেশ, সামাজিক মাধ্যমে প্রচারের পরিকল্পনা হয়েছে। আদানিদের শেয়ার কাণ্ডে এনএসই মদত দিয়েছে অভিযোগ তুলে বুধবার কংগ্রেস এক্সচেঞ্জটির সামনে বিক্ষোভ দেখায়। পরে বিক্ষোভকারীদের আটক করে মুম্বই পুলিশ।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর তোপ, আদানিদের বাঁচাতে জোর করে গোষ্ঠীর সংস্থায় স্টেট ব্যাঙ্ককে দিয়ে ঋণ দেওয়ানো ও এলআইসিকে দিয়ে লগ্নি করানো হয়েছে। ফলে মানুষের জীবন বাঁচানোর টাকা ঝুঁকির মুখে পড়েছে। তাঁর বার্তা, ব্যবসায় অনৈতিক ভাবে মদত দেওয়ার অভিযোগে আদানি এবং মোদীর সম্পর্ক নিয়ে আপোসহীন ভাবে আন্দোলন চালানো হবে। যা ছড়িয়ে দেওয়া হবে ব্লক স্তর পর্যন্ত।
এ দিকে ‘হাম আদানিকে হায় কৌন’ প্রশ্নমালায় দলের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ ফের কটাক্ষ ছুড়েছেন। তাঁর ইঙ্গিত, কোল মাইনস (স্পেশ্যাল প্রভিশনস) আইনের ফাঁক গলে ছত্তীসগঢ়ের দু’টি কয়লা খনি উন্নয়নের বরাত আদানিদের বেআইনিভাবে পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল মোদী সরকার। কিন্তু আদানিদের হাতে যে দিন খনি তুলে দেওয়া হয়েছিল, তার পরে আইনের সংশোধনী কার্যকরকরার দিন ধার্য করা হয়। রমেশের দাবি, এর বিরুদ্ধে নীতি আয়োগের বক্তব্যকে ধামা চাপা দেওয়া হয়েছে। পরে জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর দফতরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরাও ওই ভাবে বরাত দেওয়া ‘ঠিক নয়’ এবং তাতে ‘স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে’ বলে উল্লেখ করেন। রমেশের প্রশ্ন, প্রধানমন্ত্রীর চাপেই কি বরাত দেওয়ার তারিখের পরে আইনের সংশোধনের ঠিক হয়েছিল? ওই লিখিত মতামতই কি প্রমাণ করে না যে, মোদী নিজেই কেলেঙ্কারি এবং দুর্নীতিতে জড়িত!